প্রকাশিত: ২৭/১১/২০১৭ ৭:৫৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:২৭ এএম

বিদেশ ডেস্ক:
মিয়ানমারে উগ্র বৌদ্ধদের এক সংগঠনের পক্ষ থেকে সফররত পোপ ফ্রান্সিসকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে বিপন্ন ওই জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে কোনও কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে ক্যাথলিক ওই ধর্মগুরুকে। মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন মা বা থা পোপ ফ্রান্সিসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বললে তা মেনে নেওয়া হবে না।
পোপ
তিন দিনের মিয়ানমার সফরের অংশ হিসেবে সোমবার ইয়াঙ্গুনে পৌঁছান ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস। সফরের সময় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করার জন্য পোপের প্রতি আগেই আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর আপত্তি থাকায় কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপকে তা উচ্চারণ করতে নিষেধ করেছেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন মা বা থা’র মুখপাত্র তপারকা রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, মিয়ানমারের জনগণ মেনে নিতে পারবে না এমন কোনও স্পর্শকাতর ইস্যুতে তিনি (পোপ) কথা বলবেন না। তিনি যদি ইসলাম নিয়ে কথা বলেন সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি যদি রোহিঙ্গা এবং চরমপন্থীদের নিয়ে কথা বলেন তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
উল্লেখ্য, এ বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বলেছিলেন,ঈশ্বরের কাছে আমরা সবাই প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের সুরক্ষিত রাখেন। তাদের সাহায্যে বাকিদের এগিয়ে আসতে বলেন; যারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে। এবার এক ভিডিও বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন,এমন সম্মান ও উৎসাহের জায়গা থেকে আমি দেশটি সফর করতে চাই যেখানে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি পারস্পরিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার প্রচেষ্টা বিদ্যমান থাকবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...