প্রকাশিত: ২৪/০৩/২০২০ ৭:৩৬ পিএম

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, পাঁচজনের অধিক লোক এক সঙ্গে জড়ো হওয়া ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। একই সঙ্গে সিভিল প্রশাসনও মাঠে কাজ করবেন। কোনো জায়গায় অধিক লোক জড়ো না হওয়া এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করে, এসব নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী।’

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সচিবালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স এবং প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে অনুষ্ঠিত সভা শেষে জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানসহ প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ইন অ্যাইড টু সিভিল পাওয়ার’ অনুসারে সেনাবাহিনী যে কাজগুলো করবে, সভায় সেই কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে যারা আছে, সেখানে অনেকেই কোয়ারেন্টাইন মানছে না। ইতোমধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেককে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবুও অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি আছে চট্টগ্রামের। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয়েছে ‘ফ্লু কর্নার’। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কমপক্ষে দুইটি আইসিইউ বেড করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে। দু’একটি বেসরকারি হাসপাতালকে পুরোপুরি করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ রাখতে প্রস্তুতি চলছে। দু’একদিনের মধ্যে চট্টগ্রামে আসবে করোনা শনাক্তের কিট। ইতোমধ্যে পাওয়া পিপিইসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ডাক্তারদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও কিছু উপকরণ চেয়েছি। সেগুলো আসলে বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য সিআরবির রেলওয়ে হাসপাতাল, হালিশহরের পিএইচ আমিন উচ্চ বিদ্যালয়, বহদ্দারহাটের সিডিএ গার্লস স্কুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেসা হল এবং পটিয়ার মোজাফফরাবাদ স্কুলকে তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সব প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সরকার সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। চট্টগ্রামেও সেনাবাহিনী সেটা করবে। পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনকে তারা সব ধরনের সহায়তা দেবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৯৭৩ জন। গত তিনদিন ধরে একই অবস্থায় আছে। এটা অবশ্যই একটা পজিটিভ দিক। নতুন করে কোনো প্রবাসী আসেনি। আমাদের এখানে আইসোলেশনেও কোনো রোগী নেই। তবে আইসোলেশনের দরকার হলে তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে কোনো রোগীর উপসর্গ দেখা দিলে তিনি প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবেন। ডাক্তার যদি তাকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলেন বা তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর প্রয়োজন মনে করেন- তাহলে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে নির্দিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে আসবে। সেখানে তার চিকিৎসা হবে।’

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...