প্রকাশিত: ০৪/০৮/২০১৮ ৫:২৯ পিএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৪৬ পিএম

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদ সড়ক পারাপারের প্রচারণায় মাঠে নেমেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। দেশে প্রথম বারের মতো চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের এ ব্যাতিক্রমধী উদ্যোগ নেয়।
শনিবার (৪জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার চকরিয়ায় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে এ প্রচারণ চালানো হয়। উপজলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিরাপদ সড়ক সম্পর্কে সরকারের গৃহীত প্রদক্ষেপ বাস্তবায়ন লক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের নির্দেশক্রমে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক পারাপারে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্কীকরণ জানাতে প্রচারণায় মহাসড়কে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকালে উপজেলার উত্তর হারবাং থেকে খুটাখালী ফুলছড়ি পর্যন্ত চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নস্থ রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুল, ডুলাহাজারা কলেজ, ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খুটাখালী কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ে সড়ক পারাপারের ব্যাপারে সতর্কতা সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টির লক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় ও দিকনির্দেশনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
এ সময় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, কিশলয় আদর্শ শিকা নিকেতন প্রধান শিক্ষক নুরুল কবিরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ সড়ক পারাপার প্রচারণা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদ সড়ক পারাপার নিশ্চিত করতে স্থায়ী ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোমলমতি কোন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাওয়া-আসার পথে সড়ক পারাপারে যেন কোন ধরণের দূর্ঘটনা শিকার হয়ে অকালে প্রাণ না হারায় সে লক্ষে এ সচেতনতার উদ্যোগ গ্রহণ। তিনি বলেন, মহাসড়কের পাশে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্টানের সামনে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ও বিকেলে ছুটির সময়ে সড়ক পারাপারের নিয়মিত তিনজন করে গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।এছাড়াও মহাসড়কে প্রত্যেক প্রতিষ্টানের সামনে লাল রংয়ের চিহ্নিত পতাকা দেয়া থাকবে।উপজেলা প্রশাসনের যুগান্তকারী এ প্রদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত