প্রকাশিত: ২০/০৯/২০২০ ৯:১২ এএম

দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি থাকার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

গুলশানের বাসায় সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজের মাধ্যমেই দিন শুরু হয় তার। ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করেন তিনি। দিনের বেশি সময় বই, পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে খবর দেখে সময় কাটে তার। এছাড়াও দলীয় সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও দেশবাসীর খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিএনপি নেত্রী।

এছাড়াও খালেদা জিয়া নিয়মিত পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং নাতনি জাইমা রহমানের সাথে ফোনে সব সময় কথাবার্তা বলে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গেও প্রতিদিন কথা বলেন বেগম জিয়া।

জানা গেছে, বেগম জিয়ার ছেলে এবং পুত্রবধূ লন্ডনে থাকার সুবাদে লন্ডনের সময়ের সাথে মিল করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয় সেজন্য বেশি রাত করে ঘুমাতে হয় তার।

করোনার মধ্যে আত্মীয়দের সান্নিধ্যে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। প্রায় প্রতিদিনই বিকাল বা সন্ধ্যায় ফিরোজায় যান বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। মাঝেমধ্যে যান ভাতিজা শাফিন এস্কান্দার ও তার স্ত্রী অরনী এস্কান্দার, ভাতিজা অভিক এস্কান্দার ও ভাগ্নে শাহরিয়া হক। তবে কোনো আত্মীয়-স্বজন গুলশানে ফিরোজায় রাতযাপন করেন না।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা প্রতিদিন তার সাথে দেখা করেন এবং তার শারীরিক খোঁজখবর নেন। এছাড়া খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন ব্যক্তিগত নার্স ও তাঁর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা। এছাড়া তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডনে বসে প্রতিনিয়ত খালেদা জিয়াকে তার স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন।

পাঠকের মতামত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভল্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাজধানী‌র ধোলাইখা‌লে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এ‌নে‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের ...

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...