উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/১১/২০২২ ১১:২৩ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শি দিয়ে বড় আকারের এক জোড়া কোরাল মাছ ধরেছেন এক জেলে। ৩০ কেজি ওজনের কোরাল দুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৬ হাজার টাকা। বড় কোরালটির ওজন ১৮ কেজি, ছোটটির ১২ কেজি।

সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার জেলে মোহাম্মদ রিয়াজের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে। পরে পৌরসভার বাসস্টেশন বাজারে মাছ দুটি ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লানপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী কবির আহমদ। পরে ওই মাছ ব্যবসায়ী মাছ দুটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন।

জেলে মোহাম্মদ রিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ছয় বছর ধরে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। পেটের দায়ে গোপনে বড়শিতে অনেকে মাছ ধরছেন। টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট ঘাটের জেটিতে বসে নাফ নদীতে বিকেলে বড়শি ফেলেন তিনি। ঘণ্টাখানেক পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শিটি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। সেটির ওজন ছিল ১২ কেজি। এরপরে তিনি আবারও বড়শি ফেলেন, তিনবার সফল হননি। কিন্তু শেষবারে আরও একটি মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ১৮ কেজির মতো। জেটিতে মাছ দুটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন।

মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ইদানীং নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে কোরাল মাছ আটকা পড়ছে। স্থানীয় বড়শি–জেলে মোহাম্মদ রিয়াজের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের কোরাল মাছ দুটি ২০ হাজার টাকায় একজন ব্যবসায়ী কেনেন। এখন ওই মাছ ব্যবসায়ী প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করার জন্য ৩৬ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। কোরাল সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কোনো কোনো সময় এর চেয়ে বেশি ওজনের কোরাল পাওয়া যায়। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবার চালান পাচার রোধে দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...