উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০২৫ ৩:৩৬ পিএম

সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শহীদদের জানাজায় অংশ নিতে তেহরানে হাজারো মানুষ শনিবার (২৮ জুন) জড়ো হয়েছেন। শহীদদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বেসামরিক ও সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত। খবর মেহের নিউজের।

তেহরানের ঐতিহাসিক ইঙ্গেলাব স্কয়ার ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাস্তাগুলো ছিল শোকাহত মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ। জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো শহীদদের কফিন বহনের সময় মানুষের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে ছিল শ্রদ্ধা আর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘আল্লাহু আকবর’ ও ‘শহীদরা অমর’- এমন সব শোকাবহ স্লোগান।

জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর থেকে পুরো এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শোকাহত জনগণ শুধু তাদের প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে আসেননি। তারা এসেছিলেন এই বার্তা দিতে- সরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান একতাবদ্ধ, আর শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।

অনেকেই বলছেন, শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরবের এবং এই ত্যাগ ইরানিদের মাঝে আরও সাহস ও প্রতিরোধের শক্তি জোগাবে। জানাজা শেষে শহীদদের মরদেহ বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফনের জন্য।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি আক্রমণ চালায়। টানা ১২ দিন চলা এ আগ্রাসনের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অধীন এয়ারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে।

এই পাল্টা হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর ফাঁক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইসরায়েল শুধু নিরাপত্তাহীনতাই নয়, বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়ে।

এরই মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়- নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

শেষ পর্যন্ত, ২৪ জুন এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এ সংঘাতের আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটে। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই সাময়িক বিরতি দীর্ঘমেয়াদে টিকে না-ও থাকতে পারে।

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...