প্রকাশিত: ৩০/১০/২০২০ ৯:৪৩ এএম

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ও আন্তর্জাতিক কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটির সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে পার্বত্য জেলাগুলোর তিনটি সদর হাসপাতাল এবং ২২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ৩১টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যে সব রোগীরা প্রতিনিয়ত সেবা নিতে আসছে তারা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে এ প্রকল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইসিআরসি বাংলাদেশের ওয়াটার এন্ড হ্যাবিট্যাট কোঅর্ডিনেটর মাসিমো রুশো বলেন, ‘২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এই সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লক্ষ্য হল মানবসম্পদ ও বৈষয়িক অনুদানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)-র উপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ, জীবাণুনাশক সরঞ্জাম এবং প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহায়তা আমরা দিচ্ছি। এর লক্ষ্য হচ্ছে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে সকল জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা, যেন তারা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে।’

কোভিড-১৯ এর বাস্তবতাকে মাথায় রেখে প্রকল্পটির বহুমুখী কৌশলের মাধ্যমে বিডিআরসিএস স্বেচ্ছাসেবীদেরকে দূরবর্তী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যারা পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়াও, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এবং যথাপোযুক্ত জীবাণুনাশক উপকরণ এবং সরঞ্জাম নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ৩১টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের প্রায় ১৩০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সার্বিক (ব্যক্তিগত সুরক্ষা, পরিষ্কার এবং নির্বীজন পদ্ধতি) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে এই স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে এবং বিডিআরসিএসের স্বেচ্ছাসেবীরা কার্যক্রমটির পর্যবেক্ষনের কাজে যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, এই কর্মসূচির আওতায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতাধীন অনুদানের অংশ হিসাবে ক্লোরিন, গ্লোভস, ফেস শিল্ড, প্রতিরক্ষামূলক পরিধের, গাম বুট এবং মাস্ক ইত্যাদি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

রেজওয়ান নবীন, বিডিআরসিএসের প্রোগ্রাম এনালিস্ট ও আইপিসি কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট বলেন, ‘করোনাকালে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামটি পার্বত্য চট্রগ্রামের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের কর্মীদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কেবল প্রাসঙ্গিক জ্ঞানই সরবরাহ করছে না, পাশাপাশি এই নতুন পরিস্থিতিতে সংক্রমণটি মোকাবেলায় আত্মবিশ্বাসও দিচ্ছে।’

বিডিআরসিএসের সঙ্গে নিবিড় অংশীদারিত্বে আইসিআরসি ২০১৪ সাল থেকে কমিনিউটি ভিত্তিক জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও, এ কমিউনিটিগুলো যেন নিরাপদ পানি এবং পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশন সুবিধা পেতে পারে সে লক্ষ্যেও কাজ করে আসছে এ সংস্থা দুটি।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের রয়েছে, এটা সংবিধানে গ্যারান্টি ...

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...