প্রকাশিত: ৩১/০৩/২০১৮ ৪:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশের কোটি তারুণ্যের আদর্শ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তির দাপট চলছে। তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই করা যাচ্ছে না। তাই বিশ্বজুড়ে শিক্ষাখাতের অবয়বেও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবখানে তথ্য-প্রযুক্তি বহুল প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশকেও এই কাতারে শামিল করতে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে এটা স্পষ্ট যে, যারা তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হবে তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে একথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো প্রচ- তারুণ্য শূন্যতায় ভুগছে। তারুণ্যের অভাবে তাদের অনেক শূন্যতা পূরণ করতে পারছে না। কারণ তরুণেরা যা পারে অন্যদের দিয়ে তা কখনোই সম্ভব না। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা বড়ই ভাগ্যবান। কারণ বাংলাদেশে তারুণ্যে সংখ্যাই বেশি। এখন দরকার এইসব তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তোলে কাজে লাগানো।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করে তা সম্ভব। এই জন্য দেশের শিক্ষাখাতকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তরুণদের প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষিত করা হবে। এর মাধ্যমে আগামী ২১ সালে আমরা তথ্য-প্রযুক্তি, জ্ঞানভিত্তিক ও তারুণ্য নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ৫০ বছর জন্ম উৎসব করবো।

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এই সংসদ সদস্য পলক বলেন, মাদক ও জঙ্গীবাদ হচ্ছে একজন তরুণের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই দু’টিকে প্রধান শত্রু মনে করতে হবে। কারণ মাদক ও জঙ্গীবাদ অজুত সম্ভাবনা নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা একজন তরুণকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই মাদক ও জঙ্গীবাদ থেকে সব তরুণকে দূরে থাকতে হবে।

অধ্যক্ষ কথিং অংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রজতজয়ন্তীর এই উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কক্সবাজারের কৃতিসন্তান ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. একে আহামদ হোসেন, কলেজের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, এড. আমজাদ হোসেন, ফরিদুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, কলেজের অগ্রযাত্রায় সীমাহীন সীমাবদ্ধতা এবং চরম প্রতিবন্ধকতার মুখেও আমাদের দৃঢ় মনোবলের অধিকারী পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক কর্মচারীদের অদম্য আকাঙ্খাই কলেজের অগ্রযাত্রাকে সবসময়ই সচল রেখেছে।

তিনি বলেন, ওজত জয়ন্তী হবে কক্সবাজার সিটি কলেজের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরে আমরা এগিয়ে যাবো নতুন উদ্যমে। তিনি সিটি কলেজকে দেশের অন্যতম মডেল কলেজে রুপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সকাল সাড়ে টায় কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দান থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজের স্মৃতিচারণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রজতজয়ন্তী অংশ নিয়ে বর্তমান ও প্রাক্তনহ অন্তত পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী। তাদের পদভাবে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সুত্র:সিবিএন

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...