ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৮/০৫/২০২৩ ৭:৪৩ এএম

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ডুবন্ত ট্রলারে অর্ধগলিত ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৬ মে) রাতে মহেশখালীর চরপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (০৭ মে) খায়ের হোসেনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই নিয়ে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনসহ মোট সাতজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে পাঁচ দিন ও একজনকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে কামাল হোসেন ওরফে বাইট্যা কামাল, করিম সিকদার, আবু তৈয়ূব, ফজল কাদের ও গিয়াস উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে ছয় আসামি কক্সবাজার জেলা কারাগারে আছেন।

কামাল হোসেন আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি কক্সবাজার শহরে ছিলেন। তবে ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে তার কয়েক দফার কথায় নিশ্চিত হয়েছেন যে ১০ জনের ট্রলারটি সাগরে ডাকাতি করতে নেমেছিল। ডাকাতির একপর্যায়ে কয়েকটি ট্রলারের জেলেরা ১০ জনকে জিম্মি করে প্রথমে গণপিটুনি দেন। এরপর গুম করার জন্য লাশগুলো বরফ রাখার কক্ষে আটকে রেখে ট্রলারটি (ডুবন্ত ট্রলার) সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার অপর দুই আসামি (ট্রলারের মাঝি) আবু তৈয়ূব ও ফজল কাদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনাটি তাদের চোখের সামনে ঘটলেও এর সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন না।

গত ২৩ এপ্রিল শহরের নাজিরারটেক উপকূলে ডুবন্ত একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে (মহেশখালীর মাতারবাড়ীর বাইট্যা কামাল, করিম সিকদার, আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন ডুবন্ত ট্রলারের মালিক ও মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত সামশুল আলমের স্ত্রী রোকিয়া আকতার

পাঠকের মতামত