প্রকাশিত: ৩০/০৯/২০১৬ ১০:০৮ পিএম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে গত ৩ বছরে বিভিন্ন ভাবে ১১ জন খুন হয়েছে। এসব খুনের সাথে জড়িত অধিকাংশ অপরাধী এখনও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপিং, দ্বন্ধ ও সংঘাতে অস্ত্রের মুখে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ ব্যক্তিসহ অন্ততঃ ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের মহড়া ও পাল্টা মহড়া হয়েছে অনেকবার।

কিন্তু এ সমস্ত ঘটনার সাথে জড়িত অধিকাংশ অপরাধী ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে  জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সাল থেকে চলতি সালের এ পর্যন্ত টেকনাফে যাদের পিটিয়ে ও প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তারা হলেন, ২০১৪ সালে হ্নীলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রঙ্গিখালী এলাকার ভুলাইয়া বৈদ্যের দুই ছেলেকে হত্যা, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার টেকনাফ ডিগ্রী কলেজ প্রভাষক অধ্যাপক শামশুল আলম হত্যা, ২০১৫ সালে হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকার ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিক মেম্বার হত্যা, আলীখালী এলকার জামাল মেম্বারের ছেলে শাহজালাল হত্যা, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার সদস্য হত্যা, ২০১৬  সালে টেকনাফ সদর ইউপির আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজ মেম্বার হত্যা, টেকনাফের নাজির পাড়া এলাকার মার্কিন মিয়া হত্যা, আলীখালী এলাকার ফুটবল খেলার মাঠে নুরুল ইসলাম হত্যা, হোয়াব্রাং রাস্তা মাথায় রিক্সা চালক হত্যা, রঙ্গিখালী লবণ মাঠে সিএনজি ড্রাইভার কামাল হোসেন হত্যা, হ্নীলা উলুচামরী এলাকার নুরুন্নবী প্রকাশ সোনা মিয়া হত্যা।

স্থানীয় সুত্র জানিয়েছেন, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় দিন রাত অস্ত্রের মহড়া চালাচ্ছে অপরাধীরা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর হ্নীলা দরগাহস্থ সাবেক এমপির পেট্টোল পাম্পের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া ও পশ্চিম পানখালী এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে রাতের অন্ধকারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ সহ অসংখ্য ঘটনা ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটলেও এসবের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীরা এখনো অধরা রয়ে গেছে।কোন কোন সময় খুনিদেরকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করলেও আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসছে খুনিরা।

এদিকে, এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা কোন কোন কারণে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইয়াবার কারণে এ সব অপরাধীরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলে স্থানে স্থানে তাদের নিজস্ব বাহিনী গঠন করে তাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দিচ্ছে গড়ফাদাররা।

আর এসব অস্ত্র দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে যাচ্ছে বার বার।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন- সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনে অভিযোগ রয়েছে।

অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...