ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২০/০৪/২০২৩ ১০:১১ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য বরাদ্দ ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি’-এর আওতায় দেওয়া চাল বিতরণের কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে একদল লোকের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের দুস্থ নারীদের এসব কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এর আগে ১২ এপ্রিল চাল বিতরণের কার্ডের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ সদস্য।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক এসে ভিডব্লিউবি-এর কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ কারণে ইউনিয়নে চাল বিতরণ বন্ধ আছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাহারছড়া ইউনিয়নের ভিডব্লিউবি-এর চাল বিতরণ। প্রথম দিন মঙ্গলবার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১ হাজার ৪০১ জনকে তিন মাসের জন্য প্রত্যেককে ৯০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তবে বুধবার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাল বিতরণকালে এসব কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমান উল্লাহ বলেন, ‘বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোকনের বিরুদ্ধে ১২ এপ্রিল আমিসহ ৯ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। ভিডব্লিউবি-এর কার্ডের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতিসহ ছয়টি অভিযোগে লিখিতভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার চাল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবারও সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করেন। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান অনিয়ম শুরু করেন। এমনকি অসহায় নারীদের মারধরও করা হয়। এমপিকে জানানোর পর কার্ডগুলো নিয়ে যাওয়া হয়।’

৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইলিয়াস বলেন, ‘জনগণকে মারধরসহ কার্ড বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহিনা আকতার এসে কার্ড নিয়ে যায়।’

এদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, চাল বিতরণের প্রথম দিকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফেরার পর কার্ডগুলো নেওয়ার কথা শুনেছেন। সবাইকে তিনি কার্যালয়ে আসতে বলেছেন। আসার পর জেনে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহিনা আকতার, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। সুত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...