উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭/০৭/২০২৫ ৩:০৪ পিএম , আপডেট: ০৭/০৭/২০২৫ ৩:০৫ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বর্ষণে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে টেকনাফে একটানা ভারী থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কক্সবাজারে, টেকনাফে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আট, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২, টেকনাফ পৌরসভার সাত, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছয়, সাবরাং ইউনিয়নের আট, বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, তার ইউনিয়নের পূর্ব রঙিখালী এলাকায় টানা বর্ষণের কারণে প্রায় ৩০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। মূলত খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব রঙিখালী এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমাদের গ্রামে এক প্রকার বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় ঘরবাড়ি পানির নিচে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় যারা বসবাস করছে তাদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

টেকনাফ সাবারাং এলাকার বাসিন্দা ইমন বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার নিচু এলাকাগুলো পানির নিচে রয়েছে। অনেকেই রান্না করতে না পেরে না খেয়ে আছে। এখানে সহায়তা দরকার।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুকনো খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পাহাড়ে ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশ-কোস্টগার্ডের গোলাগুলি

কক্সবাজারের টেকনাফে সশস্ত্র ডাকাতদলের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ে এ ...