বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১/১২/২০২৫ ৫:২০ পিএম

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা মাছ ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ হত্যা মামলার আসামী ৭জন সন্ত্রাসীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত এক।
গতকাল (১০ জুলাই) বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরা প্রত্যেকে ৬ সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আওয়ামীলীগের গডফাদার তারেক শরীফের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য হত্যার অন্যতম জোগানদাতা কালারমারছড়ার অফিস পাড়ার বাসিন্দা গডফাদার কালা বেলাল ও শামসুল আলম পিংকি, ফকিরজুম পাড়ার বাসিন্দা সন্ত্রাসী জুয়েল চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, লকিয়ত উল্লাহ প্রকাশ ডুনাইয়া, ফারুক আজমসহ ইকবাল।
জামিনের শর্ত অনুযায়ী সময়সীমা শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তাদের ।

জানাগেছে,তোফায়েল আহমদকে খুনের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই তারেক আজিজ ছিদ্দীকি বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা করে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সা. সম্পাদক ও কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (আত্মগোপনে) তারেক বিন ওসমান শরীফকে।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামে তোফায়েল আহমদ (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে গুলি করে হত্যা করে পেশাদার সন্ত্রাসীরা। রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে উপজেলার গোরকঘাটা-জনতা বাজার সড়কের কাল্লুর ব্রিজের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
নিহত তোফায়েল আহমদ কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের ছিদ্দিক আহমদ মাতব্বরের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের গডফাদার তারেক ও কালা বেলাল বাহিনীর সদস্যরা তাকে চিংড়িঘের থেকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে কালারমারছড়ার পশ্চিমে আট জইন্যা ও পনের জইন্যা এলাকার একটি চিংড়িঘেরে হামলা চালায় ২০-৩০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। হামলাকারীরা ঘেরের কর্মচারীদের মারধর করে এবং প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়। এরপর তারা ব্যবসায়ী তোফায়েলকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তোফায়েলের পরিবার জানায়, অপহরণের বিষয়টি রাতেই প্রশাসনকে জানানো হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযানে নামে। পরে রোববার ভোরে কাল্লুর ব্রিজের পাশের সড়ক থেকে তোফায়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আদালত ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর সূত্র জানান, আত্মসমর্পণকারীরা জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জানালেও বিচারক জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সবাইকে। মহেশখালী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আত্মসমর্পণকারীরা বিভিন্ন মামলায় উচ্চ আদালতের ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই সময়সীমা শেষ হলে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জামিন চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

পাঠকের মতামত

ফেসবুক পোস্ট দিয়ে ছাত্রশক্তি নেত্রীর পদত্যাগ‘জুলাইয়ে থানার বাইক চোরের কাছে অনেক সময় হেরে যাই’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি কক্সবাজার জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটি’র ...