প্রকাশিত: ০৫/০৯/২০১৯ ৮:০৬ এএম

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রামের চাঁন্দগাওয়ে নিজ বাসায় শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। মৃত্যুর আগে আকাশ ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মাহাবুব, প্যাটেলসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন। তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন।

মৃত্যুর আগে ডা. আকাশ নিজের ফেসবুক লেখেন, ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা (মিতু) তোমার প্রেমিকদের নিয়ে।’

এ ঘটনায় আকাশের স্ত্রী ডা. মিতুসহ ছয়জনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন তার মা জোবাইদা খানম।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নগরীর নন্দনকানন এলাকায় খালাত ভাইয়ের বাসা থেকে মিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালত তাকে রিমান্ডে দেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তখন মিতু জানান, বিয়ের পরও একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল তার। এর মধ্যে আমেরিকায় অবস্থানকালে উত্তম প্যাটেল নামে এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একাধিক বার অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান তিনি। এর আগে দেশে ডা. মাহাবুবুল আলম নামে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এক বয়ফ্রেন্ডর সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল মিতু। এছাড়া শোভন নামে চুয়েটের এক ছাত্রসহ একাধিক ছেলে বন্ধু থাকার কথা স্বীকার করলেও এদের সঙ্গে শুধুই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছিলেন।

চট্টগ্রামের আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে গেলে সম্প্রতি হাইকোর্ট মিতুর জামিন মঞ্জুর করেন। সেই আলোচিত ডা. আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার প্রধান আসামি ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবারস (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় ৭ মাস চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. আবদুস ছালাম বলেন, হাইকোর্টের জামিননামা চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে তাকে সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে মিতুকে বিয়ে করেন আকাশ। কিন্তু বিয়ের ৩ বছর না যেতেই ভালোবাসার বিয়ে ফিকে হয়ে যায়।

পাঠকের মতামত