প্রকাশিত: ১৪/১১/২০১৭ ৯:৩০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:০৭ এএম

এম.এ আজিজ রাসেল::
কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শহিদুল আলম বাহাদুর ওরফে ভিপি বাহাদুরের ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকে ১১ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে শহরের বার্মিজ মার্কেট সংলগ্ন আজিম কমপ্লেক্স নামে একটি আটতলা ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সূত্রমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ বার্মিজ মার্কেট সংলগ্ন আজিম কমপ্লেক্স নামে একটি আট তলা ভবনে অভিযান চালায়। অভিযানে ম্যাজিষ্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন ১৫ আনসার ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা। এসময় ওই ভবনের ৭ম তলার ১২১ নং ফ্ল্যাট থেকে ১১ জন রোহিঙ্গা আটক করা হয়। অভিযানের সময় ওই ভবনের কেয়ারটেকার জয়নাল আবেদিনকেও আটক করা হয়। তবে পরে গাড়িতে তোলার সময় কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। একারণে তাকে আটক করা যায়নি।

অভিযান চলাকালে ওই ভবনের কেয়ারটেকার জয়নাল আবেদিনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ভবনের মালিক সদর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার সৌদি প্রবাসী নুরুল আজিম। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন। গত দুই মাস ১২ দিন আগে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শহিদুল আলম বাহাদুর ওরফে ভিপি বাহাদুর ৭ম তলার ১২১ নং ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। পরের দিন এসব রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন তিনি। প্রতি মাসে ভিপি বাহাদুরই ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া পরিশোধ করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ জানান, নুরুল আজিম নামে এক প্রবাসীর ভবনে অভিযান চালিয়ে ১১ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে সদর মডেল থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কেয়ারটেকার জয়নাল আবেদিনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই কেয়ারটেকার ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ফ্ল্যাটি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর ভাড়া নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযানের এক পর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় কেয়ারটেকার জয়নাল আবেদনিকে শেষ পর্যন্ত আটক করা যায়নি। তবে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে ভিপি বাহাদুর বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার নাম জড়িয়েছে।

পাঠকের মতামত