প্রকাশিত: ৩০/০৬/২০১৭ ৫:৪৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩৪ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ কোনো দল পাঠালে তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিয়ানমার সরকারের শীর্ষপর্যায়ের এক কর্মকর্তা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে রয়টার্স।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্লামেন্ট সেক্রেটারি কিয়াও জেয়া বলেন, “যদি তারা তদন্তের জন্য কোনো দল পাঠাতে চায় তবে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়ার কোনো কারণ আমরা দেখছি না। ”

অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা জান্তা শাসনের অবসান গঠিয়ে গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি।

গত বছর অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ মিয়ানমার সীমান্তপুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালিয়ে নয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে।

ওই হামলার পর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সেনাঅভিযানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়, অসংখ্য নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়,পুড়িয়ে দেওয়া হয় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রাণ ভয়ে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, সেনা অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।

যদিও অং সান সুচি সরকার বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পরিস্থিতি যাচাইয়ে সরকারি তদন্তদল গঠন করেছে।

জাতিসংঘ একটি তদন্তদল পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার শুরু থেকেই রাখাইন রাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং কোনো আন্তর্জাতিক দলকে সেখানে এমনকি ত্রাণ নিয়েও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তিনটি শর্ত হামাসের

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে ...