উখিয়া নিউজ ডেস্ক – রাখাইন রাজ্যে গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নিধন’ শুরু হলে সেখানকার ৯০ শতাংশ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ভয়াবহ সহিংসতা, আগুনে পুড়িয়ে বসতবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেয়া, গণহত্যা ও ধর্ষণের জীবন্ত কাহিনী।
দেশটির এ সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাত লাখের বেশি সদস্য গত একবছরে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের হিসাবে বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অধিকাংশই কুতুপালং-বালুখালী আশ্রয়শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের বছরপূর্তিতেও মিয়ানমারের নেত্রী শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি রাখাইনের তার সরকারের ভূমিকার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এমনকি দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতার কথা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যদিও এ নৃশংসতার প্রতিবাদ জানাতে অস্বীকার করায় বিশ্বব্যাপী তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা ঢল থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তেরো হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রাখাইনে যারা ফিরে গিয়েছিলেন, তাদেরও আটক ও গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ছবিতে দেখুন গত একবছরে উখিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জীবন সংগ্রাম-
কক্সবাজারে লাকড়ির বোঝা নিয়ে যাচ্ছেন একজন রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা রান্নাবান্নার কাজে জ্বালানি কাঠের ওপরই নির্ভরশীল -আলজাজিরা
বন থেকে প্রতিবার জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আট কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় -আলজাজিরা
রান্নার কাজে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারে পরিবেশের অপরিসীম ক্ষতি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করে -আলজাজিরা
বালুখালী ক্যাম্পে নিজের ছোট ছোট সন্তানদের চুল কেটে দিচ্ছেন এক রোহিঙ্গা-আল জাজিরা
পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে -আলজাজিরা
সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাঁধে -আলজাজিরা
অক্সফামের এক জরিপে বলা হয়েছে- বর্ষায় বন্যা, ভূমিধস ও রোগব্যাধি প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেই অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গার -আলজাজিরা
দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন -আলজাজিরা
জীবিকার জন্য ক্যাম্পে দোকান বসিয়েছেন রোহিঙ্গারা -আলজাজিরা
কুতুপালংয়ে মাছ বিক্রি করছেন এক শরণার্থী -আলজাজিরা
বালুখালী ক্যাম্পের স্থানীয় বাজারের অধিকাংশ দোকানদার রোহিঙ্গা -আলজাজিরা
ছোট নদী থেকে চিংড়ি ধরে বিক্রি করছেন শরণার্থীরা -আলজাজিরা
কেউ কেউ রিকশাও চালাচ্ছেন। তবে অনুমতি না থাকায় ক্যাম্পের বাইরে যান না অধিকাংশ রোহিঙ্গা রিকশাচালক -আলজাজিরা
কুতুপালং-বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির কেবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরই নয়, সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ -আলজাজিরা
কুতুপালংয়ে ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা-এএফপি
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তের শূন্য রেখার বেড়ার কাছে জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গা শিশুরা-এএফপি
পাঠকের মতামত