প্রকাশিত: ২৪/০৮/২০১৮ ২:১৩ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট- ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি নেতারা সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্যই বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ, এই রায় বিএনপিকে নতুন করে সঙ্কটে ফেলবে।’

শুক্রবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে নারী নেত্রী আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমি তো বুঝতে পারলাম না, কীভাবে প্রভাব পড়বে? আমিসহ ৫০০ জন তো এখনো পঙ্গু। কেউ অর্ধ পঙ্গু, কেউ পুরো পঙ্গু। এই হত্যাকাণ্ডের কি বিচার হবে না? বিএনপি তো আলামত পুড়িয়ে ফেলেছিল। এফবিআইকে তদন্ত করতে দেয়নি। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে আসতে দেয়নি। জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ছিল।’

তিনি বলেন, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের, এই নৃসংশ গ্রেনেড হামলা যা রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এর বিচার তো তারা (তৎকালীন সরকার) করেনি। প্রহসনমূলক একটা তদন্ত কমিটি করেছিল, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছিল হাস্যকর। এখন তাদের (বিএনপি) গায়ে জ্বালা কেন? বিচার হচ্ছে বলেই? ২২ প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে আমাদের দলের, সঙ্গে অজানা ২ জন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে বিএনপির গাত্রদাহ কেন শুরু হচ্ছে? এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত, তাদের পরিকল্পনায়, তাদের নির্দেশনায়, তাদের ভাড়া করা রাজনৈতিক কিলাররা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে, হাওয়া ভবনের সরাসরি পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে, দেশের মানুষ খুশি। বিএনপি শুধু অখুশি। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিএনপি নেতারাই জড়িত। কাজেই তাদের তো এখানে গায়ে জ্বালা হবেই। তাদের আজকে গাত্রদাহ শুরু হবে, কারণ সেপ্টেম্বরে এই হত্যাকাণ্ডের রায় হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এই কথা শুনেই বিএনপি এখন চিন্তিত। কারণ এটা আবার তাদেরকে (বিএনপি) রাজনীতিকে নতুন করে সঙ্কটে ফেলবে। তারা এমনিতেই সঙ্কটে আছে।

তিনি বলেন, এখানে অন্য কোনো পার্টি নেই, তখন খালেদা জিয়া সরকার। তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, কারণ তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। হত্যাকারী যেই হোক, যত প্রভাবশালী হোক ক্ষমা পাবে না। বিচারের রায় আমরা প্রভাবিত করতে চাই না। নিরপেক্ষ বিচার হচ্ছে, স্বাধীন বিচার হবে। বিচারে যারাই দোষী সাবস্ত হবে, শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।

কাদের বলেন, তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার, তারেক রহমান মাস্টার মাইন্ড হাওয়া ভবনে পরিকল্পনা। একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলীয় নেতা, সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে আমরা সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। ...

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ...

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ায় হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগির নির্মাণ শুরু

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ...