প্রকাশিত: ১৬/০১/২০২১ ১০:১২ এএম

প্রতিদিন রাতে ঠিক ৯টা বাজলেই অন্যরকম এক চাঞ্চল্য তৈরি হয় পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা রেলস্টেশনে। রোজকার মতোই ১২ কোচের যাত্রীবাহী একটি ট্রেন এসে দাঁড়ায় রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে। যাত্রীরা ছাড়াও ট্রেনটিকে এক নজর দেখতে আসা উত্সুক মানুষের সংখ্যাও কম থাকে না। ট্রেনটি প্লাটফর্ম ত্যাগ করে ঠিক ৯টা ২৫ মিনিটে। এরপর ৩২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভোর ৬টা নাগাদ পৌঁছায় রাজস্থানের বিকানিরে।

ট্রেনটিকে নিয়ে সবার আগ্রহের কারণ এর নামেই স্পষ্ট—‘ক্যান্সার ট্রেন’। ট্রেনটির মোট যাত্রীর প্রায় ৬০ শতাংশ থাকে ক্যান্সারের রোগী। এর কারণ হলো, ভাতিন্ডা থেকে বিকানির পর্যন্ত ট্রেনটির যাত্রীভাড়া ২১০ রুপি হলেও ক্যান্সার রোগীদের জন্য ফ্রি। রোগীর সঙ্গে থাকা অ্যাটেনডেন্টদের জন্য ভাড়ায় ছাড় থাকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। এ ট্রেনের যাত্রীদের বেশির ভাগেরই গন্তব্য থাকে বিকানিরের আচার্য তুলসি রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। ভাতিন্ডায় যাত্রা করে পথে ২৬টি স্টপেজ থেকে পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকার ক্যান্সার আক্রান্ত যাত্রীদের তুলে নেয় ট্রেনটি। এ রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই থাকেন আবার কৃষক।

ট্রেনটির যাত্রী সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ বেড়েছে। এর কারণ হলো ‘ভারতের রুটি ঝুড়ি’ খ্যাত পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবও বেড়েছে। রাজ্যটির কৃষকদের মধ্যে প্রাণঘাতী ব্যাধিটির প্রকোপ বেশি হওয়ার পেছনে অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার, দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি ও কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্যকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

পাঞ্জাবের কৃষিজীবীদের জনস্বাস্থ্যে বিপর্যয়ের এ চিত্রের প্রতিফলন এখন বাংলাদেশী কৃষকদের মধ্যেও স্পষ্ট। এখানেও কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে দেশের জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঞ্জাবের কৃষকদের মতো বাংলাদেশী কৃষকদের মধ্যেও কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিকের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের প্রবণতা অনেক বেশি।

দেশের একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি ক্যান্সার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিআরএইচ)। হাসপাতালটির ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিভাগের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট: ২০১৫-১৭’ প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর হাসপাতালটিতে যত রোগী ক্যান্সার আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই কৃষক। এছাড়াও শনাক্তকৃতদের মধ্যে কৃষকের হারও এখন উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে হাসপাতালটিতে ক্যান্সার আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় ১০ হাজার ৩১০ জন। তাদের মধ্যে ৩০ দশমিক ২ শতাংশই কৃষক। ২০১৬ সালে শনাক্তকৃত ১১ হাজার ১৫ জনের মধ্যে কৃষক ছিলেন ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ৪৪ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়, তাদের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ছিলেন কৃষক।

দেশের কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বাড়ার পেছনে কীটনাশকসহ কৃষি রাসায়নিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারকেই দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) ও গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিস (জিএপি) নীতিমালার পরামর্শ হলো, রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহারের সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার ও শরীরের অন্যান্য অংশে কীটনাশকের অনুপ্রবেশ রোধের প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া বাতাসের উল্টো দিকে তা প্রয়োগ করা যাবে না। কিন্তু সিংহভাগ কৃষকই এসব পরামর্শ মানছেন না। কোনো ধরনের সুরক্ষা উপকরণ বা ব্যবস্থা ছাড়াই কীটনাশক প্রয়োগ করছেন ৮৫ শতাংশের বেশি কৃষক। ফলে এসব রাসায়নিক ও কীটনাশকের মারাত্মক এবং ক্ষতিকারক সূক্ষ্ম উপাদানগুলো দেহে প্রবেশ করে মারণব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ও অনিরাপদভাবে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্যান্সার ছাড়াও স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকরা। দীর্ঘমেয়াদে তা হয়ে উঠছে কিডনি, হূদযন্ত্র ও ফুসফুসের ক্ষতির কারণ। ফলে ফসলের রোগবালাই দমনের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অবহেলা করছেন কৃষকরা। এভাবে কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের যেমন বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ওপরও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত বছরের আগস্টে ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হয় নোয়াখালীর বাসিন্দা আব্দুর রহমানের (৫৫)। এরপর রাজধানীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসে কেমোথেরাপি নিতে হয় তাকে। মারাত্মক অসুস্থতা ও দুর্বলতার কারণে তিনি গত ডিসেম্বরে বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন সপ্তাহ কোমায় থাকার পর ১ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী মনে করছেন, যথাযথভাবে নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার না করা এবং অতিমাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহারের কারণেই কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বাড়ছে। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, এখন কৃষির সঙ্গে সবকিছুই হয়ে পড়েছে রাসায়নিকনির্ভর। বিশেষ করে কীটনাশক ব্যবহারের সময় কৃষি পেশায় জড়িতরা কোনো ধরনের সুরক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করছেন না। আমাদের দেশে কৃষকরা মাটি উর্বর করা, ফল পাকানো ও অধিক ফলনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এভাবে অনিয়ন্ত্রিত ও অরক্ষিতভাবে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে তাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বাড়ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফসলের রোগবালাই ও কীটপতঙ্গ দমনের জন্য কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক, পতঙ্গনাশক ও রোডেন্টিসাইড (ইঁদুর মারা বিষ) ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বছর এসব কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার হচ্ছে গড়ে ৩৫-৩৭ হাজার টন। এছাড়া বার্ষিক রাসায়নিক সারের ব্যবহার হচ্ছে ৫০ লাখ টনেরও বেশি। কৃষকের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি এসব উপকরণের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে সার্বিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশেও দেখা যাচ্ছে বিরূপ প্রভাব।

পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধির উৎস নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক ধ্রুবি মহাজনের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিল একই কথা। ওই প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, ষাট-সত্তরের দশকে ওই অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে সনাতনী কৃষি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে কীটনাশক, সার ও উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার শুরু হয়। তবে এর নিয়ন্ত্রিত ও পরিমিত ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের সচেতন করে তোলার বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনই। উপরন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। এর ধারাবাহিকতায় ভারত ক্ষুধা ও খাদ্যের জন্য পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পেলেও তার মূল্য চুকাতে হয়েছে স্থানীয় কৃষকদের।

জারনাইল সিং নামে স্থানীয় এক কৃষকের বরাত দিয়ে ধ্রুবি মহাজন জানাচ্ছেন, এলাকা থেকে ময়ূর উধাও হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কৃষকরা প্রথম টের পান, কোথাও কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। জারনাইল সিং যখন বিষয়টি পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেন, ততদিনে তার পরিবারের সাত সদস্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিজ গ্রাম ও আশপাশের অন্য অনেক গ্রামের বাসিন্দাদের ক্যান্সারের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব জারনাইল সিংকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।

তিনি লক্ষ্য করলেন, তার এলাকার কৃষকদের মধ্যে ফসলে বারবার কীটনাশক স্প্রে করার প্রবণতা রয়েছে। এছাড়া তারা স্প্রে করার সময় কোনো ধরনের সুরক্ষা উপকরণ বা পোশাক ব্যবহার করেন না। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে যোগাযোগ শুরু করেন জারনাইল সিং। এক পর্যায়ে তার আবেদনে সাড়া দিয়ে পাঞ্জাবের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। তারা দেখতে পান, জারনাইল সিংয়ের ধারণাই সঠিক। যেসব এলাকায় কৃষকদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে, সেসব এলাকায় ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবও অনেক বেশি।

পাঞ্জাবের মতো বাংলাদেশেও কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিকের অনিরাপদ ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারকেই চিহ্নিত করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিনের (নিপসম) সাবেক অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক খান। এ বিষয়ে তিনি বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরেই বলা হয়, কৃষিতে জড়িতদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধান দায়ী উপকরণ হলো কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও বলা যায়, পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণেই কৃষকদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরো অনেক বেশি।

এছাড়া কীটনাশক কোম্পানিগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে কীটনাশক বিপণন ও প্ররোচনার মাধ্যমে কৃষককে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের। তাদের ভাষ্যমতে, এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত বিপণন ও প্ররোচনার ফাঁদে পড়ে কৃষকরা যথেচ্ছভাবে কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিক ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করেই ফসলের ক্ষেতে এসব রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন তারা। এজন্য কৃষকের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি কৃষকের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ কৃৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, কৃষকদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বাড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে একটি প্রধান কারণ হতে পারে কৃষিচর্চার ধরন। অর্থাৎ যখন একজন কৃষক কীটনাশক বা রাসায়নিক স্প্রে করছেন, তখন তিনি নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করছেন না। কৃষকরা কাজের অধিকাংশ সময় ডাস্টের সঙ্গেই থাকেন। ফসল ও জমির ডাস্ট তাদের ফুসফুসের জন্য অনেক ক্ষতিকর এবং ফুসফুসের ক্যান্সারেরও কারণ। মোটা দাগে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার তেমন কোনো ব্যবস্থা কৃষকরা ব্যবহার করেন না। পর্যাপ্ত ও সময়মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। আমাদের দেশে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ঘাটতি আছে। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কৃষকরা নিজেদের অজান্তে যাতে আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করতেই এ বিষয়গুলো জরুরি। কৃষকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে।

তবে শুধু কৃষক নয়, দেশে সার্বিকভাবেই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন এনআইসিআরএইচের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার। তার অভিমত, দেশে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আরো গভীরে গিয়ে গবেষণা চালালে কোন পেশায় কী কারণে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া যাবে। সুত্র: বনিকবার্তা

পাঠকের মতামত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভল্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাজধানী‌র ধোলাইখা‌লে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এ‌নে‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের ...

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...