
popপোপ যেখানেই সফরে যান, সেখানেই তার সম্মানে আয়োজন করা হয় বিশেষ ভোজের। কখনও মধ্যাহ্নভোজ, কখনও বা নৈশভোজ। ঢাকা সফরেও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পোপ ফ্রান্সিসের সম্মানে আয়োজন করেছেন নৈশভোজের। মজার ও চমকে দেওয়ার ব্যাপার হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিস বাইরে কোথাও খাবার গ্রহণ করেন না। ভ্যাটিকান সিটি ছাড়া বাইরের খাবার স্পর্শ করেন না। বিদেশ সফরকালে সে দেশের ভ্যাটিকান দূতাবাসই তার পছন্দ অনুযায়ী উপাদেয় খাবার তৈরি করে। সফরকালে তিনি কোনো উপহারও গ্রহণ করেন না।
এ ব্যাপারে আলাপ হয় পোপ ফ্রান্সিসের আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর মিডিয়া কমিটির প্রধান ফাদার কমল কোড়াইয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকা সফরকালে তার খাবার তৈরির দায়িত্ব শুধু ভ্যাটিকান দূতাবাসের। দূতাবাসই তার খাবার তৈরি করবে। তাহলে তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে কী খাবেন পোপ ফ্রান্সিস? ফাদার কমল কোড়াইয়া বলেন, রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে তিনি খাবেন কি-না, সে তথ্য তার কাছে নেই। তবে একই সূত্র বলেছে, তিনি ভ্যাটিকান দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে তৈরি খাবারই খাবেন। কমল কোড়াইয়া আরও বলেন, পোপ ফ্রান্সিস কোথাও থেকে উপহার গ্রহণ করেন না। ঢাকা সফরে আসার আগে তিনি এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, ঢাকায় আসার আগে মিয়ানমার সফরেও তিনি খেয়েছেন ভ্যাটিকান দূতাবাসে তৈরি করা খাবার। ইয়াঙ্গুন ও নেপিদোতে যেসব ভোজসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, সেখানেও তার খাবার সরবরাহ করেছে ভ্যাটিকান দূতাবাস।
পোপের পছন্দের খাবার কী? এ ব্যাপারে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, পোপের সবচেয়ে পছন্দের মেন্যু হচ্ছে পুলি পিঠা, মাংসের তৈরি শ্রিলিয়ন স্টেক এবং আইসক্রিম। এ ছাড়া তিনি চিকেন সালাদ, পিৎজা ও জুস গ্রহণ করে থাকেন। পোপ ফ্রান্সিসের পছন্দের তালিকা অত্যন্ত সীমিত। পাঁচ-ছয়টির বেশি পদ তার পছন্দ নয়। খানও খুব কম।
পাঠকের মতামত