প্রকাশিত: ২৯/০৯/২০১৮ ৭:১৮ এএম
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি

মিয়ানমারের নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলে একমত হয়েছে কানাডীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার কানাডার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে সু চির সেই সম্মান ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে রাখাইনে নিপীড়ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর রাষ্ট্রের দমন-নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয় সু চির বিরুদ্ধে।

বিবিসি জানায়, কানাডা এখন পর্যন্ত ছয়জনকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে। এর মধ্যে সু চিকে ২০০৭ সালে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। এর আগে এসব কারণেই সু চির অক্সফোর্ড, গ্লাসগো, এডিনবরা এবং নিউক্যাসলের ফ্রিডম অব সিটি পুরস্কারও বাতিল হয়ে যায়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার বলেন, মিয়ানমারের নেত্রীকে কানাডার নাগরিক রাখা যায় কিনা পার্লামেন্ট তা খতিয়ে দেখছে। রয়টার্স জানায়, কানাডা পার্লামেন্টের দুই কক্ষ যৌথ প্রস্তাবের মাধ্যমে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। বাতিলও করতে হয় একই প্রক্রিয়ায়।

সু চি ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। সে সময় তিনি সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে অহিংস আন্দোলন করেন। পরে দীর্ঘ গৃহবন্দি দশার মধ্যেই বহু সম্মাননা, সম্মানসূচ ডিগ্রি ও পুরস্কার ঘোষণা করা হয় সু চির নামে।

সময়ের পরিক্রমায় মিয়ানমার বেসামরিক সরকার ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে। ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে সু চি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হন। এতে বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তার হাতে। তবে দেশটিতে সাংবিধানিকভাবে সেনাবাহিনী এখনো বিপুল ক্ষমতার অধিকারী।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের অাগস্টে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর সেনাবাহিনী বর্বর নির্যাতন চালায়। এসব ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মিয়ানমারের ‘ডি ফ্যাক্টো’ নেত্রী। তাদের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়ে গেল বছরে দেশটি ছেড়ে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আগে থেকে ছিলো চার লাখের মতো।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন গেল মাসে প্রকাশিত হয়। এতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এতে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়। এতো কিছুর পরও গেল বছরের এপ্রিলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি সেনাবাহিনীর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। তিনি দাবি করে বলেন, রাখাইনে কোন ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হয়নি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...