প্রকাশিত: ০৯/১২/২০১৬ ৮:১৫ এএম

বিশেষ প্রতিবেদক ::

মিয়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে এদেশে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই স্বর্ণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানান অপরাধে জড়িত। পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে প্রায়ই শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মধ্যে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত অনেক রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে। আবার টেকনাফ ও উখিয়া থানায়ও রয়েছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ।

সূত্রে জানা যায়,গত ২ বছরে (গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত) ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক ২১৪ চোরাচালানীর মধ্যে ৯ জনই রোহিঙ্গা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৭১ কোটি ৭৯ হাজার ৬৮২ পিস ইয়াবাসহ ৩০৯ জন, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ মদ বিয়ারসহ ২৩ জনকে আটক করে বিজিবি। এ ছাড়া দেশীয় এলজি, পাইপগান, পিস্তল, একনালা বন্দুক, কার্তুজ ও বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করেছে বিজিবি।

বিজিবির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৪ সালের ৩১ মে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।

৩১ অক্টোবর হোয়াইক্যং চেকপোস্টে ৯৯৬ গ্রাম স্বর্ণসহ একজন, ১৩ নভেম্বর হ্নীলা, অবরাং নাফ নদীর কিনারায় ১১৬২ গ্রাম স্বর্ণসহ একজন, ২০১৫ সালের হোয়াইক্যং চেকপোস্টে ৬৯৪ গ্রাম স্বর্ণসহ ৪ জন, ২৬ আগস্ট শাহপরীর নাফ নদীবন্দর মোকাম মোহনা থেকে ২১৩ ভরি ১২ আনা (১৫টি বার) স্বর্ণ উদ্ধার, ২০ অক্টোবর টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে ৬৬৩.৮৪ গ্রাম স্বর্ণসহ একজন, চলতি বছরের ৫ মার্চ চৌধুরীপাড়া থেকে ৮১৬ ভরি ১০ আনা স্বর্ণসহ ১ জন, ২৫ এপ্রিল দমদমিয়া চেকপোস্ট থেকে ১৪২৩.৩৩ গ্রাম (১০টি বার) স্বর্ণসহ একজন, ৫ মে একই চেকপোস্টে ৯৯৭ গ্রাম ২৬ মিলি (৬টি বার) স্বর্ণসহ একজন, ২২ জুন ওই চেকপোস্টে ৮৭৪ গ্রাম ৯৩ মিলি (৬টি বার) স্বর্ণসহ ২ জন, পরদিন একই স্থান থেকে ৫৭০ গ্রাম ২০ মিলি (৪টি বার) স্বর্ণসহ একজন, ২৩ আগস্ট পুরাতন ট্রানজিট ঘাট থেকে ১ কেজি ৩২৯ গ্রাম ৭৫ মিলি (৮টি বার) স্বর্ণ, ৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল থেকে ৩ ভরি ২ আনা স্বর্ণ ও ১১ অক্টোবর পূর্ব পানখালী মাজেলপাড়া থেকে ৩২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে বিজিবি। আটক ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনই মিয়ানমারের নাগরিক ও রোহিঙ্গা বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৮০ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, মার্চ মাসে একটি পিস্তল, মে মাসে একটি দেশীয় এলজি ও এক রাউন্ড গুলি, জুন মাসে এক রাউন্ড গুলি ও একটি পাইপগান, জুলাই মাসে একটি পাইপগান, অক্টোবর মাসে ২টি পাইপগান ও একটি পিস্তল এবং ১৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তবে এ সব ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। চলতি বছর বিজিবির হাতে ২১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকার ইয়াবাসহ আটক ৩০৯ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িত রোহিঙ্গাদের আটক করা কষ্টকর ব্যাপার। টেকনাফের লেদা ও উখিয়ার কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে তারা ঢুকে পড়লে শনাক্ত করা অনেকটাই কষ্টকর।

টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, রোহিঙ্গারা অনেক ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বিজিবির অভিযানে প্রায়ই তারা নিষিদ্ধ পণ্যসহ আটক হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বর্ণের চালানও আটক হচ্ছে। সুত্র : কক্সবাংলা

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...