প্রকাশিত: ০১/০৩/২০১৮ ১:০৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫৯ এএম

নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের কোন্দলের রেশ ধরে সংগঠিত মারামারিতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পন্থিদের অনুষ্ঠানে না আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের রুমে গিয়ে মারধর এবং রুমের দরজা জানালা ভাংচুর করে,প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ভাংচুর করে সম্পাদকপন্থিদের অনুসারীরা। আহতরা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে ইতিপূর্বে আরো কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও অধ্যক্ষ কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী অধ্যক্ষের নিস্ক্রিয়তা এবং একপক্ষকে মদদ দেওয়ার কারনে এ ধরনের ঘটনা বার বার হচ্ছে। তবে অধ্যক্ষ দাবী করেছেন এটা ছাত্রলীগের আভ্যন্তরিন সমস্যা।
কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে ২৭ ফেব্রুয়ারী কলেজে সন্ধানীর একটি অনুষ্ঠান ছিল এখানে মূলত কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা ইমন নেতৃত্ব দেন। এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জোরপূর্বক আসতে বলা হলে অনেকে তার প্রতিবাদ করে,সেখানে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোসাদ্দির হোসেন তানিম সমর্থক মোস্তায়িম বিল্লাহ তৌকি জোর প্রতিবাদ করলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় সম্পাদকপন্থিদের সাথে। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সম্পাদকপন্থি মোঃ ইমরান ও ইমন সেন, নুরুল হাসনাত এর নেতৃত্ব ২০/২৫ জনের একটিদল হোস্টেল রুমে ঢুকে বেশ কয়েকটি রুমের বাইরে থেকে তালা মেরে দেয় এবং লোহার রড, ছুরি, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রনিয়ে সব ছাত্রদের উপর চড়াও হয়। এ সময় হামলায় নেতৃত্বদেন গালিব হাসান,সরকার মাসুদ,রিফাত নুর,মোঃ সোলেমান সহ বেশ কয়েক জন। এ সময় কলেজের ৫ টি জানালা দরজা,সহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। পরে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি দাবী করেছেন কলেজে সমস্ত ঘটনার পেছনে অধ্যক্ষের ইন্দন আছে।
এদিকে গতকাল সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলায় চিকিৎসাধীন আহত তৌকি জানান, তারা জোরপূর্বক বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে তারা ফোনে বিষয়টি আমাদের জানায় আমরা গিয়ে ছাত্রীদের সমস্যার কথা তাদের বলতে চাইলে ছাত্ররা আমাদের উপর চড়াও হয়। পরে রাতের বেলায় রুমে এসে সন্ত্রাসী হামলা করে। এখানে গুরুতর আহত হয়ে মোঃ সোয়াইবুল ইসলাম,কামরুল হাসান,দিল নেওয়াজ আল ইসলাম,নাঈমুল,তাসবিউল হামিদ সহ অনেকে চিকিৎসাধীন আছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আতংকের মধ্যে আছে। তাদের দাবী এর আগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রপের মধ্যে মারামারি হয়েছিল এবং প্রায় সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটে কিন্তু কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয় না। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা ইমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সভাপতি মোসাদ্দির হোসেন তানিম বলেন,এটা সম্পূর্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর এই ঘটনার পেছনে কলেজ অধ্যক্ষের ইন্দন আছে। উনার আশকারাতে বার বার এধরনের ঘটনা ঘটছে। এবং একটি অডিও রেকর্ডে শুনা গেছে ঘটনা বিষয়ে এক ছাত্র উনাকে জানালে তিনি উল্টো সবাইকে মারামারি করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এঘটনায় মামলা করার কথা জানান ছাত্রলীগ সভাপতি তানিম। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জন কলেজ শিক্ষক বলেন অধ্যক্ষ ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সাহা যোগদানের পর থেকে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে কারন তিনি একটি পক্ষকে আশকারা দেন। আর কোন সমস্যা হলে সেটা একাডেমিক কাউন্সিলে বসে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে হবে এ পর্যন্ত তিনি কোন ঘটনার কোন সমাধান করেন নি। তাই অনেকে অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনা শুনামাত্র আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম পরে আমি নিজে গিয়ে দেখি অধ্যক্ষ দু’গ্রুপকে নিয়ে উনার রুমে বসে আছেন। অধ্যক্ষ সাহেব বলেছেন তিনি ঘটনার সমাধান করবেন। তবুও আমি ২৮ ফেব্রুয়ারী দিনের বেলায় আবারো পুলিশ টিম পাঠিয়েছিলাম যাতে কোন সমস্যা না হয়।
এব্যাপারে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার সাথে সাথে আমি এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন পর্যবেক্ষনে আছে দেখা যাক আমরা সবাই মিলে বসবো আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে। সুত্র :দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...