ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৫/০১/২০২৩ ৯:১৭ পিএম , আপডেট: ২৬/০১/২০২৩ ৯:১৫ পিএম

জাহাঙ্গীর আলম একজন বাসচালক। কিন্তু চালক পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন কক্সবাজার থেকে ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের চালান আনতেন ঢাকায়। পরে সুবিধা মতো বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন সেগুলো। তিনি গড়ে তুলেছেন একটি চক্রও। টেকনাফ কেন্দ্রিক আইসের মূল কারবারি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে গেন্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দক্ষিণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপতরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর সায়েদাবাদে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী মো. মেহেদী হাসানকে। একপর্যায়ে তাদের তল্লাশি করে এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়। এসব আইসের বাজার মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা।

আল আমিন জানান, টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইস রাজধানীতে নিয়ে আসেন গ্রেফতার জাহাঙ্গীর। মূলত বাস চালানোর আড়ালে এসব মাদক কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সাথে জড়িত। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকা এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। ইয়াবা থেকে আইসের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আইস পাচার ও বিক্রি জন্য আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি। পরে তার সহযোগী মেহেদী হাসানের মাধ্যমে সরাসরি মাদক সেবীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এর আগে জাহাঙ্গীর মাদক কারবারের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চারবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হন।

তিনি বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করে। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনও এর বিস্তার ঘটেনি। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...