প্রকাশিত: ০৪/০১/২০১৮ ৮:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:৩০ এএম

রফিক মাহমুদ, উখিয়া
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোটবাজার স্টেশনের ভয়াবহ যানজট নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। সারাদিনের যানজটের কারনে দীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টা যান চলাচল ও কর্মঘন্টা ব্যাঘাত ঘঠছে প্রতিদিন। ফলে পর্যটক সহ হাজার হাজার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উখিয়া উপজেলার ব্যাস্ততম স্টেশন কোটবাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে সৃষ্ট প্রতিদিনের যানজট কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ ২কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন যানবাহনের সারি হয়ে আটকে পড়ে। এই ছাড়াও কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়ক ও কোটবাজার-ভালুকিয়া সড়কের যানজটের একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে যানজট সৃষ্টি হলেও ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখঙলা বাহিনীর কোন খবর নেই। নামে মাত্র চন্দন কুমার নামে একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও গত বছরের আগষ্ট মাসে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে কুতুপালং এলাকায় উক্ত ট্রাফিক চন্দন কুমার দায়িত্ব পালন করায় কোটবাজার চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাফিক শুন্য রয়েছে দীর্ঘ ৩ মাসের ছেয়ে বেশি সময় ধরে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা আসার পর থেকে দেশি বিদেশি এনজিও, বিভিন্ন দপ্তরের ভিভি আইপিরা ও সরকারি উচ্চ মহলের অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায় গতকাল ৪ জানুয়ারী বৃহস্পপতিবার বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ব্যাস্ততম স্টেশন কোটবাজার থেকে প্রতিদিনের ন্যায় সৃষ্টি হওয়া যানজটের কারনে কোটবাজার থেকে দক্ষিণে সাদৃরকাটা ও উত্তর দিকে বটতলী পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী বাস মিনি বাস মালবাহী ট্রাক মিনি ট্রাক প্রাভেইট ক্যার নোহা মাইক্র সিএনজি অটোরিক্সা টমটম সহ অসংখ্য গাড়ির সারি ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ছাড়া ও কোটবাজার-সোনার পাড়া সড়কে কোটবাজার থেকে রুমখা ছাগলের বাজার রাস্তামাতা পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির বহর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেতে হয়েছে। ভয়াবহ এই যানযটের কবলে পড়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ ও ইনানী থেকে ফেরত আসা হাজার হাজার পর্যটক ও যাত্রীদের চরম ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিদিন। প্রতিদিনের কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে কোটবাজারের এই দীর্ঘ যানজটের ব্যাপাওে ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখঙলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ভয়াবহ যানজট চলাকালিন সময় কোটবাজার স্টেশনে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া উপজেলা সিএনজি মালিক ও চালক সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত এক শ্রমিক নেতা বলেন, গত ২/৩ মাস ধরে ট্রাফিক পুলিশ চন্দন কুমার কোটবাজার থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে আর কোন ট্রাফিক না আসার কারনে যেমন তেমন ভাবে চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থা টেকনাফ থেকে ফিরে আসা ঢাকার আমিন উল্লাহ নামের এক পর্যটক বলেন, এভাবে যানজটে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হলে তাদের গুরুত্বপূণ্য সময় নষ্ট হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক জায়গায় ২/৩ঘন্টা যানযটে আটকে থাকতে হলে ঢাকাগামী গাড়ির বুকিং দেওয়া টিকেট মিস হতে পারে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি কোটবাজারের প্রতিদিনের যানজট নিরসনে দক্ষ ট্রাফিক দেওয়ার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিকুছড়ি সীমান্তে মর্মান্তিক মাইন বিস্ফোরণের ...

কক্সবাজারে দুর্ঘটনার পর ট্রেন আটকে বিক্ষোভ, তদন্ত কমিটি গঠন

কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে ...

ইউএনওর ‘স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ’, পদ হারালেন জামায়াত নেতা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা জামায়াতের ...