উখিয়া নিউজ ডটকম::
পর্যটন নগরীর পরিচয়কে ছাপিয়ে আরেকটি নতুন পরিচয়ে বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। তাহলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল। আর তাÑই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুনিয়া জুড়ে কক্সবাজারের নাম লেখা হচ্ছে, উচ্চারিত হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশ্রয় দিতে গিয়ে পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজারের প্রকৃতির রূপ, সামাজিক নানান বিষয়।
কক্সবাজার শহর থেকে উখিয়া হয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ যাবার পথে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শরণার্থী শিবিরের এই দৃশ্য সাম্প্রতিক বছরের। ছোট ছোট সবুজ পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে অগণিত আশ্রয় শিবির করা হয়েছে দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য। এ যেন শরণার্থীদের শহর। যাদের দেখেতে, সাহায্য করতেও ছুটে আসছেন দেশ-বিদেশের মানুষ, জমছে ভীড়।
শরণার্থী শিবিরগুলো কিভাবে প্রকৃতির রুপ পাল্টে দিচ্ছে। প্রকৃতির ক্ষতি শিকার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এই বিস্তীর্ণ আশ্রয় শিবির দেখে এই পরিবর্তন কেমন লাগে স্থানীয়দের।
একর পাহাড় ও সমতলের জমিতে এখন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। গত বছর মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু অধিবাসীদের চলে আসার স্রোত ছিল পৃথিবীর সবচে বড় আলোচিত ঘটনার একটি। প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা চলে এসেছে মাত্র কয়েক মাসে। আগে থেকে ছিল আরও প্রায় ৫ লাখ। বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আগমন কক্সবাজারের চিরচেনা রাজিৈনতিক ও আর্থ-সামাজিক চিত্রও আমূল পাল্টে দিচ্ছে।খবর বৈশাখীটিভির
মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে স্থানীয়রা এবং রাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয় দিলেও দূর ভবিষ্যতে এর বড় বিপদ নিয়ে উদ্বেগের অন্ত নেই উখিয়া, টেকনাফ ও গোটা কক্সবাজারবাসীর মধ্যে। পরিবর্তন নিয়ে আছে বিশ্লেষকদের নানা পর্যবেক্ষণ।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরেই শুধু সীমাবদ্ধ নেই রোহিঙ্গারা। তারা কক্সবাজার শহর ও জেলার অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে বছরের পর বছর ধরে। ছড়াচ্ছে দেশের নানা প্রান্তেও।
পাঠকের মতামত