
এ ব্যাপারে দেশটি কোস্টগার্ডের প্রধান জুবিল মাত সোম বৃহস্পতিবার এএফপিকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি তিন-চার মাস ধরে সাগরে ভাসছে। বেশ কয়েকবার মালয়েশিয়ার জলসীমায় ঢোকার চেষ্টা করেছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে অনেক বছর ধরেই মালয়েশিয়াই তাদের পছন্দের ঠিকানা।
তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার বা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্র পাড়ি দেন। মৃত্যু হাতে নিয়ে প্রতিবছর বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে গিয়ে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজেদের জলসীমায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে মালয়েশিয়া। অভিবাসীদের মাধ্যমে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন ভয় থেকে এই অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার।
ভাসমান নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা রয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড প্রধান জুবিল, “অভিবাসীদের নৌকাটিকে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়া থেকে বাধা দিতে নৌবাহিনীর হাজাজ, কোস্টগার্ডের জাহাজ ও পুলিশের নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে।”
রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটিকে সবশেষ থাইল্যান্ডের জলসীমায় দেখা গেছে বলে জানান জুবিল।
এর আগে গত সোমবার একটি নৌকায় করে আসা ২৬৯ জন রোহিঙ্গাকে উত্তর-পশ্চিম মালয়েশিয়ার ভূ-খণ্ডে ঢুকতে দেওয়া হয়। নৌকাটি ভেঙে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত উপকূলে পৌঁছাতে দেওয়া হয়।
পাঠকের মতামত