উখিয়া নিউজ ডটকম::
গত এক বছরে ৬০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। ইউনিসেফ ও ব্র্যাকের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য। নবজাতকের এই চাপে দেশ বাড়তি সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
৬ সন্তান আর স্ত্রীসহ ৮ জনের পরিবার রাখাইন থেকে আসা আশরাফ মিয়ার। বড় মেয়ের ১৮ আর ছোট ছেলের বয়স ২ বছর। শুধু আশরাফ নন, রোহিঙ্গা পরিবারগুলোতে গড়ে সন্তান সংখ্যা কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন। এমনকি যাদের ঘরে ৫ এর বেশি সন্তান রয়েছে তারা আরও সন্তান নিতে আগ্রহী।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের চলমান একটি গবেষণা বলছে, এই মুহুর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গর্ভবতীর সংখ্যা অন্তত ২০ হাজার। আর গত এক বছরে জন্মগ্রহণ করেছে ৬০ হাজার শিশু। তবে এখন জন্মহার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন ৬০ জনে।
পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে অনাগ্রহ ও কুসংস্কার বেশি সন্তান জন্মদানের মূল কারণ।
ক্যাম্পগুলোর কয়েক লাখ শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে নানা সংস্থা। এসব সংস্থার জন্য নবজাতকের দেখভাল যেন নতুন দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যেই ১০ লাখ মানুষের চাপে দুর্ভোগে বাংলাদেশ। তার ওপর হাজার হাজার নবজাতকের কারণে সংকট আরও বাড়ছে।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করছি সচেতনতামূলক কাজ করতে। আমাদের পরিবার পরিকল্পনা ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। জরিপ চলছে সক্ষম দম্পতি নির্ণয়ের। এই জরিপটি যদি হয়ে যায়, আমাদের কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।’
নবজাতক জন্মের হার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অল্প কিছুদের মধ্যে বাংলাদেশেকে আরো ২০ হাজার নতুন নতুন মুখের অন্নের সংস্থান করতে হবে।
বলা চলে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় শরনার্থী সংকটে বাংলাদেশ। সেই সংকটের আগুনে ঘি ঢালছে ইতোমধ্যেই গর্ভবর্তী হওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতন করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পাঠকের মতামত