ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৬/১১/২০২২ ২:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের উন্নয়নের অনেকের চোখে পড়ে না। তাদের হয় চোখ নষ্ট; যদি চোখ নষ্ট হয় চোখের ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা খুব ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছে। আমার মনে হয়, তাহলে তারা দেখতে পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।’

আজ শনিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর প্রথম টিউবের (দক্ষিণ পার্শ্ব) পূর্তকাজ সমাপ্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের অপজিশন বোধ হয় চোখ থাকতে অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। নিজেরা কিছু করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতেও পারবে না। হ্যাঁ, ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে। অর্থ চোরাচালান করতে পারবে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানি করতে পারবে। অর্থ-অস্ত্র চোরাচালানি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ; এগুলো পারবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা বাণিজ্য রাজধানী বলে ডাকতাম। সেই চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেই। দুর্ভাগ্যের বিষয় পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতাসীন তারা চট্টগ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ঢাকায় নিয়ে চলে আসে। চট্টগ্রাম প্রায় অবহেলিত অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার সেই চট্টগ্রামকে নতুনভাবে গড়ে তোলে এবং তার গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।’

‘আজকে অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছিলেন, আমরা সেভাবে যাত্রা শুরু করেছি। দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়ে এনেছি। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশ আর দরিদ্র থাকবে না। আমরা দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর খাবারের জন্য হাহাকার করতে হয় না,’ বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় সারা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি অনেকে দেশ নিজেদের দেশে অর্থনৈতিক মন্দা ঘোষণাও দিয়েছে। আমরা এখনো সেই দুর্ভাগ্যজনক অবস্থায় পড়িনি। আমাদের যেটুকু আছে নিজেদের সম্পদ আমরা ব্যবহার করার সক্ষমতা রাখি।

আমি দেশবাসীকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে জমি-জলাধার আছে উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করবো। কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। সেই নীতি নিয়ে সবাইকে চলার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিদ্যুৎ-জ্বালানি-পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে একদিকে করোনাভাইরাসের মন্দা, অপরদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা। তার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রস্ফীতি একটা বিরাট সমস্যা সারা বিশ্বব্যাপী। তার ধাক্কা থেকে আমরাও দূরে না।

অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব আমাদের ওপর এসেছে পড়েছে। তারপরও আমরা অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমরা রাখতে পারবো যদি দেশবাসী এ বিষয়ে সচেতন হন, নিজেদের সঞ্চয় বাড়ান, মিতব্যয়ী হন। কৃষি জমি রক্ষা করেই শিল্পায়ন যাতে হয় আমরা সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’

পাঠকের মতামত