উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭/০৪/২০২৩ ১০:২৫ এএম , আপডেট: ০৭/০৪/২০২৩ ১২:০৯ পিএম

সৈয়দুল কাদের ::
গত ৫ বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়নে পাল্টে গেছে কক্সবাজার পৌর এলাকার দৃশ্যপট। সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। পরিকল্পিত উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন পৌরবাসী। এমন কোন ওয়ার্ড নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে বিগত ৫ বছরে পাল্টে যাওয়া কক্সবাজার পৌরসভা নিয়ে। এছাড়া আগামীতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১২৩৭ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি অভূতপুর্ব উন্নয়ন বলে জানালেন কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বাসিন্দারা। পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে পৌর এলাকার উন্নয়নমূলক কাজগুলো তিনি সম্পন্ন করতে পেরেছেন।
কক্সবাজার পৌরসভা সুত্রে জানা যায়, এডিবি, জিওবি ও ওএফআইডি এর অর্থায়নে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১৪৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে ১৯.৭৫ কিঃমিঃ, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে ২৩.৫২ কিঃমিঃ ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হয়েছে ৭.৯৩ কিঃমিঃ। ২০১৯-২২ সময়ে ১৩৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ১৯.৬৭ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ২১.০৯ কিঃমিঃ ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হয়েছে ১০.৩৪ কিঃমিঃ। কোভিড চলাকালে রাস্তা সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। পৌর ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৫ কোটি টাকা যা এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২২ পর্যন্ত আরো ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এরই মধ্যে আগামী অর্থ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবায়নাধীন রয়েছে ১২৩৭ কোটি টাকা।

কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, বিগত ৫ বছরে কলাতলী সড়ক ও পরিচ্ছন্নতার কারণে এই এলাকা এখন পর্যটকের জন্য আকর্ষনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। বছরে ১১ মাসই এখন পর্যটক আসে কক্সবাজারে। কখনো কম কখনো বেশী। বর্তমানে কলাতলী এলাকার দৃশ্য দেখলে মনে হয় বিশ্বের কয়েকটি উন্নত শহরের মধ্যে কক্সবাজারও একটি। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আরো এগিয়ে যাবে। করোনা মহামারির সময়ে কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে যেভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে তা দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছে। কক্সবাজার শহরের পান বাজার সড়কের ব্যবসায়ি কাজল জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় আমরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছি। উপসড়ক গুলোর ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় সহজেই মানুষ যাতায়ত করতে পারছেন। বিগত ১০০ বছরে যা হয়নি তার চাইতে বেশী উন্নয়ন হয়েছে উপসড়কের। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে পৌর নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকে মেয়র পদে ভোট দেব। এই এলাকার অধিকাংশ নালা এখন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। এই উন্নয়নকে অভূতপুর্ব বলা যায়। কক্সবাজার পৌরবাসী এমন উন্নয়ন কখনো দেখেননি।
কলাতলী এলাকার ব্যবসায়ি মোহাম্মদ ইউনুচ বলেছেন, এখন আমরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছি। পুরো এলাকাই নিরাপদ। যেখানে বর্ষা আসলে হাঁটা যেত না সেখানে সড়ক নির্মিত হয়েছে। সড়ক না থাকায় যেখানে পর্যটক আসত না সড়ক হওয়ায় সেখানেই এখন পর্যটকে ভরপুর থাকে। বিগত সময়ে এলাকার জন্য কাজ না করায় অনেক পিছিয়ে পড়েছিল কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। বিগত ৫ বছরে তা অনেকাংশে পুষিয়ে এসেছে। যেখানে গাড়ি চলাচল করা যেত না সেখানে এখন গাড়ি চলছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নের কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি কক্সবাজারবাসীকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখেন। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। যার জন্য পৌরবাসীর সহযোগীতা চাই। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...