প্রকাশিত: ১৩/০৬/২০১৬ ৮:১৪ এএম

danউখিয়া নিউজ ডটকম::

কৃষিপণ্য উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল উখিয়া উপজেলায় বিগত মৌসুমে বোরোর বাম্পার উৎপাদন হলেও ধান-চালের বাজার নিম্নগতির কারণে এ উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এখানে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের নির্দেশ দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট খাদ্য গুদাম পরিদর্শক তা গোপন রেখে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ। এ নিয়ে প্রান্তিক, বর্গা ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
বিগত অর্থবছরে সরকারিভাবে প্রায় ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চাল স’ানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করার দিকনির্দেশনা থাকলেও এখানে তা মানা হয়নি। উখিয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শক স’ানীয় ১২ জন আড়তদার-ডিলারদের সাথে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স’ান থেকে নিম্নমানের চাল সরবরাহ এনেছেন। এ নিয়ে স’ানীয় রাজনৈতিক দল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে খাদ্য গুদাম পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ করেছে। এমনকি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরবরাহকৃত চালের গাড়ি পর্যন্ত আটক করতে দেখা গেছে। তথাপিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উপরন’ যারা প্রতিবাদ করেছে অদৃশ্য কারণে তাদেরকেই আবার ঝিমিয়ে পড়তে দেখা গেছে।
এবারও সরকারিভাবে ৮৮৬ মেট্রিক টন ধান স’ানীয় কৃষকদের নিকট থেকে ২৩ টাকা করে সংগ্রহ করার জন্য দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক সূত্রে জানা গেছে। ০১ মে থেকে ধান সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো রূপ ধান ক্রয়ের কর্মপরিকল্পনা পরিলক্ষিত হয়নি। ফলিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, তিনি ধান বিক্রির জন্য উৎপাদিত ধানের নমুনা নিয়ে খাদ্য গুদাম অফিসে যোগাযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, ধান পুরোপুরি শুকায়নি বিধায় এ ধান ক্রয় করা সম্ভব নয়। খয়রাতিপাড়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানান, তিনি ধান বিক্রির আশা করে কিছু পরিমাণ নমুনা ধান নিয়ে খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ওই ধান ক্রয়ের নীতিমালায় পড়ে না বলে উল্লেখ করে বলেন, ধানে প্রচুর পরিমাণ চিটা থাকার কারণে তারা ধান ক্রয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। এভাবে প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রির জন্য খাদ্য গুদামে ধরনা দিলেও নানা অজুহাত তুলে কৃষকদের উৎপাদিত ধান ক্রয় করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ৬৪৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এবার কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত না হওয়ায় ৩৭ হাজার ৪৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করা না হলে কৃষকেরা লোকসানের ভার মাথায় নিয়ে ফসল উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে।
এ প্রসঙ্গে আলাপ করা হলে উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক সুনিল দত্ত জানান, অনেকেই ধান বিক্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের ধান গুণগত মানসম্পন্ন না হওয়ার কারণে ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি গত বছরের চাল সংগ্রহ অভিযানে তুলকালাম ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এবার সাবধানতা অবলম্বন করে ধান ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...