প্রকাশিত: ০৫/০৮/২০২২ ৯:৪৬ এএম

ফারুক আহমদ ::
উখিয়ায় দৃশ্যমান উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে ৫ টি গ্রামীণ সড়কের চেহারা। সড়ক গুলো কার্পেটিংয়ে রূপান্তর হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস জানিয়েছেন, রত্নাপালং বৌদ্ধ মন্দির সড়কের নামে একটি প্যাকেজে ৫ টি গ্রামীণ সড়কে কার্পেটিং কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
বিশ্বব্যাংকের ১ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন করছেন।

সড়কগুলো হচ্ছে, রত্নাপালং ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা শমশের আলম চৌধুরী সড়ক, ঝাউতলা-কবির আহমদ চৌধুরী সড়ক, খোন্দকার পাড়া সড়ক, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ-বৌদ্ধ মন্দির সড়ক ও সাদৃকাটা-কলঘর সড়ক।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (ই এম সি আর পি) এর অধীনে বিশ্ব ব্যাংক প্রকল্পসমূহে অর্থায়ন করছে। এলজিইডি প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন করছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি ফার্ম হচ্ছে, হাসান টেকনো বিল্ডার্স।
উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খান জানান, সড়কের কার্পেটিং কাজ টেকসই ও গুণগত মান বজায় রাখার জন্য আমরা সর্বাত্মক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সিডিউল মোতাবেক যথাযথ নিয়মে সড়কের কাজগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন, ১২ শত ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য ৫টি গ্রামীণ সড়কের কার্পেটিং কাজ বর্তমানে ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খানসহ উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্সের ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট সড়ক সমূহে উন্নয়ন কাজে উপস্থিত হয়ে তদারকি করে থাকেন।
বিশ্বব্যাংকের ইএমসিআরপি কর্মসূচির প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল কবির জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও বিশ্বের মানসম্মত নির্মানের উপকরণ দিয়ে সড়কগুলোর কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে।
রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্থানীয় জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার্থে এ সব সড়ক সমূহের প্রকল্প প্রেরণ সহ কার্পেটিং কাজ শুরু করার জন্য সাধ্যমত তকবির করেছি। আজ সড়কগুলোর উন্নয়ন দেখে খুবই ভালো লাগছে ।
রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন সড়কের চলমান কার্পেটিং কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে ।
ঠিকাদারি ফার্ম হাসান টেকনো বিল্ডার্সের ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জুনায়েদ হোসেন বলেন, সরকারি সিডিউল ও বিশ্বব্যাংকের ডিজাইন অনুযায়ী সড়কের কার্পেটিং কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সড়কের কার্পেটিং কাজের গুণগত মান দেখার জন্য বিশ্বব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল, কনসালটেন্ট ফার্মের টিম সহ এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক ও কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন ।

পাঠকের মতামত