উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩/০৩/২০২৪ ১২:২৭ পিএম

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আনাচে কানাচে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে বনবিভাগের জায়গায় লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যরা। সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন। এখানে টাকা দিলেই জায়েজ হয়ে যায় সবকিছু। কন্টাক্ট করে বনবিভাগের জায়গায় দালান থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা যায়। বিশেষ করে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বনবিট কর্মকর্তা সৈয়দ আলম রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই ইউনিয়নে সবার মুখে মুখে একটি কথা শোনা যায় “বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আলমকে ম্যানেজ করে সবকিছু করা যায়।

জানা যায়, উখিয়া বন রেঞ্জের হলদিয়া পালং ইউনিয়নের দীর্ঘদিন ধরে বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সৈয়দ আলম। দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকার সুবাদে তার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে বনভূমি খেকো সিন্ডিকেটের। অবৈধ ডাম্পার, বন বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, বালি উত্তোলন,পাহাড় কাটা, দালান নির্মাণ সহ সবকিছুতেই বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আলমের নিয়ন্ত্রণে হয়ে থাকে। এর জন্য তিনি নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সিন্ডিকেট সদস্যরা কাজ করে থাকেন। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করলে সে স্থাপনা তিনি আইন প্রয়োগ করে ভেঙে দেন।
এবার তিনি মরিচ্যা বউবাজার নামক স্থানে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী অমীয় বড়ুয়ার দুই ছেলে এনজিও কর্মী রাজু বড়ুয়া ও সাজু বড়ুয়ার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারি বনে আট্রালিকা ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে এনজিও কর্মী রাজু বড়য়া ও সাজু বড়ুয়া স্থানীয়দের বলেছেন তারা স্থানীয় বিট কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে কাজ করছেন। তাই দালান নির্মাণে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

পাঠকের মতামত

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...