উখিয়ার রাজনীতিতে আবার তরুণদের জোয়ার দেখা যাচ্ছে। শনিবার দুপুর ২টায় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হতে যাচ্ছে তারুণ্যের সমাবেশ—যেখানে ভিড় জমাবে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ভোটাররা। প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত পুরো উখিয়া উপজেলা জামায়াত; মাঠঘাট থেকে সংগঠনের প্রতিটি স্তরে এখন একটাই আলোচনার বিষয়—শনিবারের সেই মঞ্চ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সাংবাদিকদের নিয়ে চায়ের আড্ডা। সেখানে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির এবং উখিয়া–টেকনাফ আসনের মনোনীত প্রার্থী নুর আহমদ আনোয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন—স্বপ্ন, পরিকল্পনা আর তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথা শোনাবেন।
মাঠে যারা থাকবেন—মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাকসুর ভিপি রনি—তাদের উপস্থিতি সমাবেশকে আলাদা ওজন দিচ্ছে। নেতা–কর্মীদের মুখে প্রত্যাশার আলো, চারদিকে এক ধরনের উচ্ছ্বাস যেন ছড়িয়ে আছে।
এখন প্রশ্নটা খুব সরল—তরুণদের প্রথম ভোট কোথায় যাবে? যারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাম্প্রতিক ভূমিধ্বস বিজয় দেখেছে, তারা জানে এই ঢেউ দেশের দক্ষিণ প্রান্তেও থামতে চায় না। উখিয়া–টেকনাফে সেই ধারাবাহিকতার শেষ দৃশ্য দেখতে চান এখানকার মানুষ—নুর আহমদ আনোয়ারির জয়ের মাধ্যমে।
একটা কথাই এখন ঘুরে ফিরে আসছে—জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চাবিটা এবার সত্যিই জনগণের হাতে। দেশের দখল ফিরিয়ে আনতে, রাজনীতিকে নতুন পথে নিতে, তরুণদের স্বপ্নের দেশে পৌঁছাতে—দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারি।
শনিবারের সমাবেশ তাই শুধু একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়; উখিয়া–টেকনাফে ভবিষ্যতের দিগন্ত কোন দিকে খুলবে, সেই উত্তর দেখার দিনও বটে।