প্রকাশিত: ১৪/০৫/২০১৮ ৮:৫৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৫৮ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
মুসলিমদের পবিত্র শহর জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাজায় সমবেত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি। এতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। সীমান্তের কাছে প্রতিবাদরত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনারা গুলি, টিয়ারগ্যাস ও বোমা নিক্ষেপ করলে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত ও ১,৯০০ জন আহত হন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে আটজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

সোমবার সকাল থেকে ফিলিস্তিনিরা অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সীমান্তে সমবেত হতে থাকেন এবং ব্যাপক সুরক্ষায় ঘেরা সীমান্ত বেড়ার সামনে স্লোগান দিতে থাকেন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে পদযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ১৯৪৮ সালে তাদের ওই অঞ্চল থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়।

এই কর্মসূচি শুরুর পর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সাংবাদিক মারাম হুমাইদ আলজাজিরাকে বলেন, ‘গত সাত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যত মানুষ সমবেত হয়েছিল তার তুলনায় আজকে বহুগুণ বেশি ফিলিস্তিনি প্রতিবাদের জন্য জড়ো হয়েছেন।’

গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হবে ১৫ মে মঙ্গলবার।

এ দিনটিকে আবার ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইহুদিবাদী ইসরাইল সাড় সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ করে তা দখল করে নেয়। সেই হিসেবে আগামীকাল ইসরাইলি আগ্রাসনের ৭০ বছর পূর্তি হবে।

একই সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজকরা এই কর্মসূচিতে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেন।

এখন ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লা ও হেব্রনেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ করছেন ফিলিস্তিনিরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ডিসেম্বের একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেইসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।

তার সেই ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা কট্টরপন্থী ইহুদি জারেদ কুশনারকে ইসরাইলে পাঠিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা। যদিও ইসরাইলের আহ্বানে সাড়া দেয়নি অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা। তাছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রাম্পের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে।

পাঠকের মতামত

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...

বিমান ছিনতাই করেছিলেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির স্বামী

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দুর্নীতির ...