ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৭/০৩/২০২৪ ৩:৫১ এএম

আজ (১৬ মার্চ) ৫ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ষষ্ঠ দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের অষ্টম পারার শেষার্ধ ও পূর্ণ নবম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আরাফের ১ নং আয়াত থেকে শুরু হয়ে তিলাওয়াত হবে সুরা আনফালের ৪০ নং আয়াত পর্যন্ত।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. আল্লাহ তাআলা তাকে ডাকতে বলেছেন চুপিসারে ও কাকুতি-মিনতি করে, ভয় ও আশা নিয়ে। আল্লাহর ব্যাপারে ভয়হীন হওয়া যেমন ক্ষতিকর, তার রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়াও হারাম। তাই মুমিনের কর্তব্য অন্তরে আল্লাহর ভয় রাখা, তার রহমতের আশাও রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা তোমাদের রবকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে। নিশ্চয় তিনি পছন্দ করেন না সীমালঙ্ঘনকারীদের। শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আর তাকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাক, আল্লাহর দয়া তো (সব সময়) তাদের নিকটে আছে যারা সৎ কাজ করে। (সুরা আরাফ: ৫৫, ৫৬)

২. ইনসাফ ও ন্যায়বিচার মুমিনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। কোনো ব্যাপারেই অন্যায়, অসততা, জায়েজ নেই। আল্লাহ বলেন, বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন’, আর প্রত্যেক নামাজে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে (তাঁর প্রতি) নিবদ্ধ কর, তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে (তোমাদের মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। (সুরা আরাফ: ২৯)

৩. ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পন্য ও মূল্য যথাযথভাবে হস্তান্তর করা উচিত। ওজনে কম দেওয়া হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, মাপ ও ওজন সঠিকভাবে কর, লোকেদেরকে তাদের প্রাপ্য বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করো না, পৃথিবীর সংশোধনের পর তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কর না, এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা সত্যিই মুমিন হয়ে থাক। (সুরা আরাফ: ৭৫)

৪. দুনিয়ার জীবনে মাঝে মাঝে বিপদ-আপদ আসেই। বিপদ-আপদে মুমিনের কর্তব্য হলো, অধৈর্য-অস্থির না হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা ও ধৈর্য ধারণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন কর। এ পৃথিবীর সার্বভৌম মালিক আল্লাহ, তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার উত্তরাধিকারী করেন, শুভ পরিণাম ও শেষ সাফল্য আল্লাহভীরুদের জন্য। (সুরা আরাফ: ১২৮)

বিজ্ঞাপন

৫. আল্লাহর দেওয়া সম্পদ থেকে খরচ করতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী। অপচয় করা যাবে না। আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। আল্লাহ বলেন, হে আদাম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না, অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ: ৩১)

৬. আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা হারাম করেছেন। মানুষের প্রতি অন্যায় ও বাড়াবাড়ি, শিরক এবং আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ হারাম করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, বল, আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপ, অন্যায়, বিরোধিতা, আল্লাহর অংশীদার স্থির করা যে ব্যাপারে তিনি কোন প্রমাণ নাজিল করেননি, আর আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদের অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। (সুরা আরাফ: ৩৩)

পাঠকের মতামত

কাবায় শায়েখ সুদাইসের অশ্রুসিক্ত মোনাজাত: ‘হে আল্লাহ ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের বিজয় দান করুন’

বিভিন্ন রঙ ও জাতি এবং বিচিত্র ভাষা, কোনোকিছুই তাদেরকে মগ্ন করতে পরেনি। ইসলামের সৌন্দর্য সমস্ত ...

আজ পবিত্র শবে কদর

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ শনিবার (০৬ মার্চ)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের ...

মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন বাংলাদেশি হাফেজ কামরুল

রমজানে মসজিদে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য। এ জন্য বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি হাফেজদের রয়েছে ...