ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২২/১২/২০২২ ৫:৪০ পিএম
সেন্টমার্টিন জেডিঘাট/ ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী

দীর্ঘ আড়াই মাসেও অনুমতি মেলেনি টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল। পর্যটন মৌসুমে এই রুটে নিয়মিত চলাচল করতো ১০টি জাহাজ। নাফ নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণ দেখিয়ে বন্ধ রয়েছে এই রুটে জাহাজ চলাচল। তারপরও অনেক পর্যটক স্পীড বোট এবং কাঠের নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে।

যদিও টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমিত না মিললেও কক্সবাজার শহর থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দুইটি জাহাজ।

পর্যটন ব্যবসার উপর অনেকটা নির্ভরশীল প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের মানুষেরা। দ্বীপের ৮০-৯০ শতাংশ মানুষের আয়ের উৎস এ খাত থেকেই। চলতি মৌসুমে দ্বীপের মানুষেরা অনেকটা অসহায়- মানবেতর জীবন পার করছে। আশানুরূপ পর্যটক না হওয়ায় হতাশ ছোট বড় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে পুনরায় জাহাজ চলাচলের দাবি জানান দ্বীপের মানুষেরা।

এক সময় দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা ছিল মৎস্য শিকার। গভীর সাগরে গিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো তারা। পর্যটন ব্যবসার প্রসারের সাথে সাথে মানুষের পেশার পরিবর্তন ঘটে।

সেন্টমার্টিন বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব খাঁন জানান, সহসা জাহাজ চলাচলের অনুমতি না মিললে পুরনো পেশায় ফিরে যাবে ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, নাফ নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে জাহাজ চলাচল। তবে, টেকনাফের সাবরাং থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অনুমতি মিললে একাধিক জাহাজ চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দুইটি জাহাজ। এ দুই জাহাজে ধারণ ক্ষমতা প্রায় তেরোশ। টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি মিললে বাড়বে জাহাজের সংখ্যা। সে সাথে কম টাকায় ভ্রমণের সুযোগ পাবে আরও ৮ হাজার মানুষ।

পাঠকের মতামত