প্রকাশিত: ৩০/১০/২০২০ ৩:২২ পিএম

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। ভোটার হিসেবে সু চির নিবন্ধন ইয়াঙ্গুনে হলেও করোনাভাইরাসের কারণে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বৃহস্পতিবার রাজধানী নিপিধোতে ভোট দেন তিনি।
মাস্ক, গ্লাভস পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সু চি ভোট দেন। একই ভোটকেন্দ্রে এর আগে ভোট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও।

মিয়ানমারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিরোধীদলগুলো ভোট গ্রহণ স্থগিতের আহ্বান জানালেও আগামী ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের বিষয়ে অনড় রয়েছেন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক লিগ (এনএলডি) নেতা সু চি।

প্রায় অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে এই প্রথম কোনো নির্বাচিত সরকারের অধীনে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরাসরি সেনা শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ক্ষেত্রেও এই নির্বাচন একটি পরীক্ষা বলে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এজন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশটিকে।

করোনাভাইরাসে মিয়ানমারে এপর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মহামারীতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মিয়ানমার। সংক্রমণ ঠেকাতে আরোপ করা লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সু চি ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তবে জেনারেলদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নিতে তিনি বাধ্য হন।

এবারের নির্বাচনে আবারও জয়ের আশা করছে সু চির দল এনএলডি। তবে এবার জয়ের ব্যবধান গতবারের তুলনায় কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা মুসলিম নিপীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সু চির সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তবে নিজ দেশে এখনো তিনি জনপ্রিয়।

পাঠকের মতামত