প্রকাশিত: ২৮/১০/২০১৬ ৭:১৩ এএম

এনটিভি::

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে বহু মুসলমান নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। কেবল ১৯ অক্টোবর, এক দিনেই ৩০ জন মুসলমান নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই অভিযানের নামে মুসলমান নারীদের ধর্ষণ করেছে।

 ‘আরাকান প্রজেক্ট’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক ক্রিস লেওয়া জানিয়েছেন গত ১৯ অক্টোবর একদিনে ৩০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যম মিয়ানমার টাইমস জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে কঠিন সামরিক নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সঠিক তথ্য যাচাই করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।

ক্রিস লেওয়া জানান, গত ২০ অক্টোবর একটি গ্রামের দুই নারী ও ২৫ অক্টোবর পাঁচ কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়।

গত ২৫ অক্টোবর বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক অভিযানের সময় মংডু এলাকায় ১০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন। পরে তার গর্ভের শিশুটি মারা যায়।

বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের কর্মকর্তা উ কেয়াও উইন বলেন, ‘সরকার ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং অপরাধ করেই যাচ্ছে।’

চলতি মাসের শুরুর দিকে রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে অভিযান শুরু করে সামরিক বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযানের নামে হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মত কাজ করেছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের সহকারী পরিচালক ফিল রবার্টসন জানান, কথা হচ্ছে দেশটির নেত্রী অং সান সুচি ও সরকার এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখার বিষয়। মানুষের অধিকারের বিষয়ে করা রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞার বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার এটাই সময়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তিনটি শর্ত হামাসের

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে ...