প্রকাশিত: ১৬/০৩/২০১৭ ১১:০৫ পিএম

অাজিজুল হক,শহর প্রতিনিধি:
পূর্ব ঘোষণা মতো শহরের নালা-নর্দমা দখল করে গড়ে তোলা দালানকোঠা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে কক্সবাজার পৌরসভা। অাজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেয়র মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে প্রথমে ভাঙা হয় বৌদ্ধমন্দির সম্মুখস্থ দিপালী ভবনের একাংশ। এরপর বৌদ্ধমন্দির সড়কের মাহতাবের মালিকানাধীন ভবনের নালায় পড়া কিছু অংশ । পরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নালা দখল গড়ে বহুল আলোচিত আবু সেন্টারের অংশ ভাঙা হচ্ছিল। তবে দিপালী ভবন ও মাহতাবের ভবন কিছুটা ভাঙার পর মালিক পক্ষ নিজেরা ভেঙে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদেরকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী অভিযানকালে সাংবাদিককের জানান, নালা দখল করে গড়ো তোলা ভবনের প্রথম ক্যাটাগরিতে পড়েছে বৌদ্ধমন্দির সম্মুখস্থ দিপালী ভবন। এই ভবনের যে অংশ নালায় পড়েছে তা ভাঙার মধ্যে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। কিছু অংশ ভাঙার পর ভবনের মালিক মো. কালু এসে অবশিষ্ট অংশ নিজে ভাঙার জিম্মা নেন। তাকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে নিজ জিম্মায় ভেঙে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই জন্য তার কাছ থেকে লিখিত ‘জিম্মানামা’ নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাহতাবের মালিকানাধীন ভবনও ভাঙতে গেলে মালিক মাহতাব নিজে ভেঙে নেয়ার জিম্মা নেন। তাকে লিখিত ‘জিম্মানামা’ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে নালা দখল করে গড়ে তোলা অংশ ভেঙে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবু সেন্টারের নালা দখল করে গড়ে তোলা অংশ ভাঙার কাজ চলছে। এরই মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে মেয়র ছাড়াও কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামসেদ, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী, সচিব রাসেল চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। উচ্ছেদ কার্যকমে কাজ করছে ৩০ জনের অধিক শ্রমিক। সেই সাথে কাটার মেশিন, ড্রেইল মেশিন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে নিজেরাই নালা দখল করে গড়ে তোলা অংশ ভেঙে নিয়েছে কক্সবাজার বিল্ডার্স’ এর মালিক পক্ষ।
মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই উচ্ছেদ অভিযান চলছে এবং ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে আমরা কাউকে পরোয়া করছি না। কারণ সবার চেয়ে জনগণ বড়। উল্লেখ্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বেষ্টিত পর্যটন নগরী কক্সবাজার পৌরসভা একটু বৃষ্টি হলে নালা-নর্দমায় পরিণত হয় নিত্যদিনের চলাচলে পৌরবাসী ও পর্যটকদের পড়তে হয় চরম দূর্ভোগে। শেষ পর্যন্ত নালা দখল করে গড়ো তোলা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করারর উদ্যোগ হাতে নেওয়ায় পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের সাধুবাদ জানিয়েছেন পৌরবাসী ও পথচারীগন । মেয়র পৌরসভার সকল কর্মকান্ডে জনগণ ও মিডিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন।

পাঠকের মতামত

কোটবাজার দোকান-মালিক সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহণ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির শপথ গ্রহণ, দায়িত্বভার ...

‘ইয়াবাকান্ডে’ কক্সবাজারে অধিনায়কসহ ৩ শতাধিক র‍্যাব সদস্যকে গণবদলি

ইয়াবা উদ্ধার করে মামলায় কম দেখানো এবং আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) কক্সবাজার ...

কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি খাদ্যসহায়তা ডব্লিউএফপির

 রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব ...

উখিয়ায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহে র‍্যালি-প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী–২০২৫ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি ...

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কোরিয়ার ৫০ লাখ ডলার অনুদান

কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ মার্কিন ...