
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তজুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই বৈধ মৎস্যঘেঁরের আড়ালে চোরাই মাছ ও কাঁকড়া প্রবেশের অভিযোগ নতুন নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় ইউনিয়নের অন্তত ১০–১২টি দুর্বল পয়েন্ট ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে এসব পণ্য দেশে নিয়ে আসে।
পরে চোরাই চালানগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা ছাড়াও বৈধ ঘেঁরের উৎপাদিত মাছের সঙ্গে মিশিয়ে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালেই হোয়াইক্যং ৬৪-বিজিবি চেকপোস্টে একটি সন্দেহভাজন চিংড়ির চালান জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বাংলাদেশ ভ্রমণ
জব্দের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয়দের একটি দল সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করে। ফলে টেকনাফ–কক্সবাজার সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং উভয়মুখী যানবাহন দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
সড়ক অবরোধকারীরা দাবি করেন, জব্দ করা চিংড়ির চালানটি বৈধ মৎস্যঘেঁরের। ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
তারা অভিযোগ করেন, বৈধভাবে আনা পণ্য আটকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। অবরোধকারীরা এ সময় সঠিক তদন্ত ও দ্রুত চালান ছাড়ার দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে—চিংড়িগুলো সন্দেহজনক হওয়ায় এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থাকায় বিজিবি এটি জব্দ করেছে।
সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি নজরদারি আরও কঠোর করেছে।
সড়ক অবরোধের কারণে সকাল থেকে সাধারণ যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং পণ্যবাহী যানবাহন মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়েছে। পরে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাটি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানকারীদের সক্রিয়তা ও বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ পণ্য প্রবেশের শঙ্কা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
অনেকে মনে করছেন, দ্রুত তদন্ত ও স্বচ্ছ অবস্থান না নিলে এমন ঘটনা ঘনঘন ঘটতে পারে।

পাঠকের মতামত