উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২/১২/২০২৪ ৯:৩৫ এএম

এহতেশামুল হক ভোলা ও বাবুল আক্তার মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলা বলেছেন, আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে পিবিআই। বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে খুন করেছে এমন বক্তব্য দিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল।

বাবুল আক্তার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে কারা ফটকে এসে এমন কথা বলেন মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ভোলা।

মিতুকে খুন করতে এহতেশামুল হক ভোলা আসামিদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পিবিআই। ভোলা অভিযোগ করে জানান, সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার চক্রান্ত করে বাবুল আক্তারকে তার স্ত্রী হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। বাবুলের সাথে বনজের প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটে স্বর্ণের গুদামে থেকে স্বর্ণ উদ্ধার ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেদিন অভিযান বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় বাবুলকে মিতু হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এহতেশামুল হক ভোলা বলেন, ‘আমি নির্দোষ’ আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসি মো. কামরুজ্জামান। পরে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অন্তত এক কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে পিবিআই। বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে খুন করেছে এমন বক্তব্য দিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা চাই মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়া হোক। আমার বিশ্বাস আমরা ন্যায় বিচার পাব ইনশাআল্লাহ।

এদিকে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও কারাগার মুক্তি পাননি স্ত্রী মিতু খুনে বাদী থেকে আসামি বনে যাওয়া আলোচিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বাবুলের। এ জন্য বিকাল চারটা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে ভিড় করতে থাকেন অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জানা যায় বাবুল আক্তার আজ মুক্তি পাচ্ছেন না।

৩০ বছরের বান্ধবীকে নিয়ে রেড কার্পেটে হাঁটলেন ৬৪ বছরের অভিনেতা৩০ বছরের বান্ধবীকে নিয়ে রেড কার্পেটে হাঁটলেন ৬৪ বছরের অভিনেতা
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একইদিন (১২ মে) বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।

সেই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে বাবুল তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে বাবুল। বর্তমানে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলায় মোট ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সূত্র দেশ রূপান্তর

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...