প্রকাশিত: ২০/১০/২০১৬ ৯:০৭ পিএম

এম.বশিরুল আলম,লামাঃ

বান্দরবানের লামায় বিএডিসি’র খামার শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিকদের লাগাতার কর্ম বিরতি চলছে। এ.এস.সি (বিএডিসি) দপ্তরের শ্রমিকদের নিয়মিত করণ, বকেয়া বেতন প্রদান ও দৈনিক চার’শ টাকা বেতন আদায়সহ ৪ দফা দাবীতে ১৬ অক্টোবর থেকে আংশিক-১৯ অক্টোবর থেকে পুরোদমে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

সংগঠন সূত্রে জানাযায়, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপন- স্বারক নং-২২৫ খামার শ্রমিকদের উৎসব বোনাস দেয়ার আদেশ জারী হয়। সে মতে শ্রমিকরা বিগত ৪ বছর নিয়মিত বোনাস পেয়েছিল। নীতিমালানুযায়ী কোন শ্রমিক “তিন বছর বোনাস পেলে চাকুরী নিয়মিত করতে হবে”। শ্রমিকরা জানায়, এ ক্ষেত্রে বিএডিসি (সংস্থা) নীতিমালা অনুসরণ না করে শ্রমিকদেরকে ঠকিয়ে আসছে। অপর দিকে ২৪ মে/২০১৬ তারিখ থেকে শ্রমিকদের দৈনিক ২৬০ টাকা থেকে বেতন বৃদ্ধি পেয়ে চার শ টাকায় উন্নীত করা হয়। ২৪ মে/১৬ থেকে ৩০ জুন/১৬ পর্যন্ত, ৩৬ দিনের ১৪০ টাকা হারে বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ১৫অক্টোবর/১৬ থেকে হাল নাগাদ বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এর ফলে খামার শ্রমিকরা ১৬ অক্টোবর থেকে ৪ দফা দাবী পূরণের জন্য আংশিক,১৯ অক্টোবর থেকে সব ধরণের কর্মবিরতি শুরু করে। ২৩ অক্টোবরের মধ্যে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবী না মানলে, ২৪ অক্টোবর থেকে সকল কাজ বন্ধ করে দেয়াসহ অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট পালন করবেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধিত হলে, শ্রমিক সংগঠন কোন দায়ভার বহন করবেনা বলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানায়।

এ ব্যপারে লামা বিএডিসি ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মাফুজুর রহমানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানায়, এ বিভাগে শ্রমিকরা “নো ওয়ার্ক নো পে” শর্তে কাজ করছেন। এই কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ২৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা উন্নীত করার বিষয়টি জানিয়েছে, এটা সত্য। তবে অতিরিক্ত অর্থ কে দেবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় শ্রমিকদের দাবীকৃত বকেয়া টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাটানো হয়েছে।

বিএডিসি শ্রমিক নেতা খেজারি মার্মা জানায়, এ সংক্রান্ত বিষয়ে, কৃষি মন্ত্রণালয় গবেষণা অধিশাখা স্বারক নং ১২.০০.০০০০.০৬২.৯৯.০০৫.০৬-৩৪৯, তারিখ ১৭ জুলাই/১৬ “দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরি হার পূন:নিধৃারণ সংক্রান্ত, “ অর্থ বিভাগের পত্র নং-০৭.০০.০০০০.১৭৩.৬৬.০৫৯.১৫-৩৪, তারিখ ২৪-০৫-২০১৬’এ সচিব আমেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্র প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট ডিপার্মেন্টকে জানানো হয়। একই তারিখ ও স্বারকের স্থলাভিষিক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ অধিশাখা কর্তৃক জারিকৃত স্বারক নং ০৭.০০.০০০০.১৭৩.৬৬.০৫৯.১৫-৩৪, তারিখ : ২৪-০৫-২০১৬ মূলে এক পত্রে জানানো হয়, “ উপর্যুক্ত বিষয়ে কাজের ধরণ বিবেচনা ইতোপূর্বে যে সকল কার্যালয়ের জন্য কেইস টু কেইস অর্থ বিভাগ কর্তৃক দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেসব কার্যালয়ের জন্য নির্দেশক্রমে নিম্মোবর্ণিত শর্তে দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার পূন: নির্ধারণ করা হলো“। যথাক্রমে জেলাও উপজেলা এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিকের জন্য- ৪ শ্ পঞ্চাশ টাকা ও নিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের জন্য ৪ শ্ টাকা দৈনিক মজুরি হার নির্ধারণ করা হয়।

শ্রমিকদের জানায়, সরকারের শ্রমবান্ধব এমন দাবীটি বিএডিসি’র সংশ্লিষ্টারা আমলে নিচ্ছেনা। এর ফলে সারা দেশে বিএডিসি শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...