এম.বশিরুল আলম :
বান্দরবানের লামায় এক উপজাতি কিশোরীকে অপহরণ করেছে পার্শ্ববর্তী চকরিয়াধীন বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিন কিশোর- যুবক। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে চলে গেছে বলে দাবী স্থানীয়দের। জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে মর্মে দাবী করছেন কিশোরীর পিতা-মাতা।
লামা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ছোট বমু মৌজার বাসিন্দা থুইচাচিং মার্মা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে লাঠিসোঠা ও দারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরের ছেলে সোহেলসহ সাথে আরো দু’জন মিলে তার মেয়ে হ্লাহ্লা চিং মার্মা(১৫)কে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার ঘরে রক্ষিত বাগান বিক্রয় ও ঋণ বাবদ তোলা ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া তার মেয়ের গলায় আট আনা ওজনের একটি সোনার চেইনও ছিল বলে কিশোরীর বাবা-মা জানান। এব্যপারে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন জানান, তিনি বিষয়টি আজকে (শুক্রুবার) শুনেছেন এবং থুইচাচিং মার্মাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়ে লামা থানায় পাটিয়েছেন। এদিকে স্থানীয়রা জানায়, মেয়েটি ছোট বমু সরকারি প্রাইমারী স্কুলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সবাই জানতেন এবং বমুবিলছড়ির এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সেই সূত্র ধরে প্রেমিকের সাথে চলে গেছে। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেন জানান, এব্যপারে মাত্র অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পাঠকের মতামত