
ঢাকা: জাতিগত সহিংসতায় মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকার পরিচয়পত্র দেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রবিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ২ হাজার একর জমির ওপর একটি আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান গত ৮ই সেপ্টেম্বর জানান, গত দুই সপ্তাহে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। মাত্র দুদিন আগেও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সর্বশেষ দফায় আসা শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার বলে উল্লেখ করছিলেন।
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, গত দুই দিনে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া আরও অনেক শরণার্থীদের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের কথা তারা আগে জানতেন না।
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ছয় ও সাত তারিখে জাতিসংঘের সব সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিওর একটি যৌথ দল সীমান্তের যেসব এলাকায় শরণার্থীরা এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেসব এলাকায় গেছে। সেসময় তারা অনেক নতুন শরণার্থী দলের সন্ধান পেয়েছেন। এসব শরণার্থীরা মূলত আছে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে। তারা যেখানেই থাকার মতো জমি পেয়েছে, সেখানেই থাকছে।’
শরণার্থীদের যেভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন তার প্রশংসা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, তারা যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন।
পাঠকের মতামত