প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০১৮ ৭:৪৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২৮ এএম

ডেস্ক নিউজ:;

মিয়ানমারের সামাজিক কল্যাণ, ত্রান ও পূণর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে ১১-১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ সফরে তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত করার বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। গত আগস্টে মিয়ানমারে নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান শুরুর পর এসব রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও ৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার একটি প্রাথমিক তালিকার জবাবে মিয়ানমার মাত্র ৫০০ (প্রায়) জনকে ‘চিহ্নিত’ করেছে। মিয়ানমার বলেছে, কিছু রোহিঙ্গা দেশে ফেরার আবেদনপত্র ঠিকভাবে পূরণ করেনি।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্বে থাকা মিয়াত আয়ে বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তা সংক্ষেপিত আকারে এখানে তুলে ধরা হল:

রেডিও ফ্রি এশিয়া: বাংলাদেশে এ সফরের লক্ষ্য কী?
উইন মিয়াত আয়ে: শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব নিয়ে আলোচনা

রেডিও ফ্রি এশিয়া: বাংলাদেশি সরকার কিংবা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন?
উইন মিয়াত আয়ে: যতটুকু জানি বাংলাদেশ সরকার পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছে। তারা আয়োজন করতে পারলে আমরা শরণার্থী শিবিরেও যাব।

রেডিও ফ্রি এশিয়া: প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরির আসল কারণ কী?
উইন মিয়াত আয়ে: চুক্তি অনুযায়ী শরণার্থীরা আবেদনপত্র ঠিকভাবে পূরণ করলে দেরি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু যেভাবে আশা করেছিলাম সেভাবে হয়নি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শরণার্থীরা আবেদনপত্র পূরণ করলে এ প্রক্রিয়া তুলনামূলক বেশি দ্রুত হত। বাংলাদেশে গিয়ে এ নিয়ে কথা বলব।

রেডিও ফ্রি এশিয়া: ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ৮,০৩২ শরণার্থীর তালিকা পাঠাল। মিয়ানমার ৯০০ জনকে ‘চিহ্নিত’ করেছে। এর মধ্যে ৫০০ জন মুসলিম এবং ৪০০ জন হিন্দু। বাংলাদেশে বাকি শরণার্থীদের বিষয়ে কী করছেন?
উইন মিয়াত আয়ে: আমি আগেও বলেছি আবেদনপত্র ঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি। এজন্য চিহ্নিত করতে সময় লাগছে। আমরা তাদের তালিকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছি যাদের আমরা চিহ্নিত করতে পারি কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাইনি।

রেডিও ফ্রি এশিয়া: এ সফর থেকে কী আশা করছেন?
উইন মিয়াত আয়ে: বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রতিবেশী। শরণার্থী ইস্যু দুই দেশের সমস্যা। আমাদের দেশের মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে চলে গেছে। এখন আমাদের দায়িত্বতাদের ফিরিয়ে আনা। দুই দেশই তাতে রাজি। সুসস্পর্ক বজায় রেখে এই ইস্যুতে দুই দেশের একসাথে কাজ করতে হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতাকে আরও মসৃণ করতে বাংলাদেশ যাচ্ছি।

রেডিও ফ্রি এশিয়া: মিয়ানমার কী জাতিসংঘের শরণার্থীদের সুরক্ষা সম্পর্কিত সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপির সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে কাজ করবে? এসব সংস্থার সঙ্গে মিয়ানমারের কী চুক্তি হয়েছে?
উইন মিয়াত আয়ে: বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে আমরা এরইমধ্যে জাতিসংয়ের সংস্থারগুলোর সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি আলোচনা করেছি যদি প্রয়োজন পড়ে। ইউএনএইচসিআর ও ইউএনডিপির সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

৫ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু জান্তাশাসিত মিয়ানমারে

অবশেষে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের ...

মিয়ানমারে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে ‘নৃশংসতা’ চালাচ্ছে জান্তা: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের জান্তা আসন্ন সেনা-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে সহিংসতা চালাচ্ছে এবং ভয়ভীতিও প্রদর্শন ...

দিল্লির পর কলকাতাতেও বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ভারতের নয়াদিল্লির পর এবার কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের (ডেপুটি হাইকমিশন) সামনে বিক্ষোভ করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার ...

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের, বিচার নিশ্চিতের আহ্বান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের ...

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে

রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। ...

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

‘গ্লোবাল রিফিউজি ফোরাম (জিআরএফ) প্রোগ্রেস রিভিউ ২০২৫’ শুরু হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ...