প্রকাশিত: ১৫/০৮/২০২১ ১:৫৪ পিএম


হিলিতে রোহিঙ্গা বলে ডাকায় ইলিয়াস (৩৬) নামে এক মাইক্রোচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ২৪ দিন পর এজাহারভুক্ত দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে হাকিমপুর থানা পুলিশ।

রোববার (১৫ আগস্ট) মধ্যরাতে হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বৈগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তৌফিক হাসান ওরফে সাফিন (৩১), একই উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর এলাকার মসফিকুর রহমান বকুলের ছেলে নাইমুর রহমান ওরফে লাবু (২৬)।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২২ জুলাই রোহিঙ্গা বলে ডাকায় ইলিয়াস নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে হাকিমপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে উপজেলার জালালপুর নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইমুর ও সাফিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে দিনাজপুরের হিলিতে রোহিঙ্গা বলায় ইলিয়াস (৩৬) নামের এক মাইক্রোবাস চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে সংঘবদ্ধ কয়েকজন যুবক তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গত ২৪ জুলাই তার মৃত্যু হয়।

ইলিয়াস উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মহাসিন আলীর ছেলে।

পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছিল, ইলিয়াস হিলি বন্দর এলাকায় মাইক্রোবাস চালায়। প্রতিদিনের মতোই ঈদের পরের দিন তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে হিলিতে যাওয়ার পথে পাশের গ্রামের (বৈগ্রাম) আক্তারুজ্জামানকে মশকরা করে রোহিঙ্গা বলে ডাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে নিয়ে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে গিয়ে ইলিয়াসকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে তাকে ঢাকায় নিতে পারেনি পরিবার। পরে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথে ওভারপাস ফাঁকা, হাতিরা আসে না

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথে বন্যপ্রাণী রক্ষায় গড়ে তোলা হয়েছিল এশিয়ায় সর্বপ্রথম ‘এলিফ্যান্ট ওভারপাস’। উদ্দেশ্য ছিল– বন্যহাতির জীবন ...