প্রকাশিত: ১৩/১২/২০১৬ ৯:৪২ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

 

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া নতুন ছবিতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে এইচআরডব্লিউ জানায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

 

এইচআরডব্লিউ জানায়, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রাম ওয়া পেইকের ছবি তারা বিশ্লেষণ করেছে। ছবিতে দেখা গেছে, ওই গ্রামটি যখন জ্বালিয়ে দেয়া হয়, তখন কাছের একটি সেনাচৌকির সামরিক যানগুলোকে সক্রিয় দেখা গেছে। এটা প্রমাণ করে যে ওই এলাকায় সেনারা অবস্থান করছিল।

 

এইচআরডব্লিউয়ের এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান ও নজরদারি করছে, সেখানে এক মাসে তিন শতাধিক বাড়িঘর রোহিঙ্গারা জ্বালিয়ে দিয়েছে—এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

 

তিনি বলেন, দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি কৃত্রিম উপগ্রহের এই ছবিতে দেখা গেছে। কাজেই তারা ক্রমাগত অস্বীকার করলেও তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

 

এ ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের প্রধান মুখপাত্র জ এইচতে বিবিসিকে বলেন, ওই ঘটনার জন্য তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।

 

মিয়ানমার সরকারের নিয়োগ করা একটি দল গত কয়েক দিনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছে। আগামী জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে দলটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

রাখাইন রাজ্যের বর্তমান সংকট ও রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার বিষয়ে এটা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তৃতীয় প্রতিবেদন। এর আগে ওই গ্রামগুলো সেনারা জ্বালিয়ে দেয়—এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার সরকার জানায়, আন্তর্জাতিক সহানুভূতি পেতে রোহিঙ্গারা নিজেরাই তাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়।

 

গত ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে সীমান্তের তিনটি চেকপোস্টে অস্ত্রধারীদের হামলায় দেশটির নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দমনে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ ওঠে। মিয়ানমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও তারা এসব এলাকায় স্বাধীন তদন্তকারী ও বিদেশি সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছে না।

 

রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনায় মিয়ানমারের অঘোষিত প্রধান শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অং সান সু চিকে ক্রমবর্ধমানহারে আন্তর্জাতিক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি গতে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতনকে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছেন।সুত্র বিবার্তা

পাঠকের মতামত

সাবেক ৩০ ডিসি-ইউএনওসহ টেকনাফের সাবেক ইউএনওকে তলব, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বৈঠক আজ

বিগত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রশ্নবিদ্ধ তিনটি নির্বাচনে কারচুপির তথ্য ...

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ...

উখিয়া কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন ইমন মল্লিক

কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী উখিয়া সমাজ-শ্মশান-ভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা ...

৪০০ পিস ই’য়া’বাসহ আ’ট’ক বৈষ’ম্যবিরোধী ছাত্র আ’ন্দোলনের ৩ নেতা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৪০০ পিস ই’য়া’বাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্র প্রতিনিধিকে আ’ট’ক করেছে ডিবি পুলিশ। ...