প্রকাশিত: ২৪/০৪/২০২০ ১০:০২ এএম
Single Page Top

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলোতে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত পুনরায় চালু করতে বলছে মার্কিন কংগ্রেস। এ উদ্দেশ্যে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের (প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট) হাইপ্রোফাইল নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ. কে. আব্দুল মোমেন বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই চিঠিতে মার্কিন আইন প্রণেতাগণ এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনা মহামারী মোকাবেলা এবং মানবিক সাহায্য পরিচালনার কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। চিঠিতে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের পরিচালিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রম কার্যকরভাবে এবং যথেষ্ট পরিমানে পরিচালনা করতে পারছে না।

মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির র‌্যাংঙ্কিং মেম্বার সিনেটর রবার্ট মেনেন্ডেজ এবং হাউজ ফরেন এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান এলিয়ট এঞ্জেল কর্তৃক স্বাক্ষরকৃত ওই চিঠিতে আরও স্বাক্ষর করেন সিনেটর এড মার্কি , সিনেটর ক্রিস্টোফার মার্ফি , কংগ্রেসম্যান এন্ডি লেভিন ও কংগ্রেসম্যান এমি বেরা।

চিঠির শুরুতে এক মিলিয়নেরও বেশী রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আবারো ধন্যবাদ জানান মার্কিন আইন প্রণেতাগণ। তারা বলেন, দেশে দেশে সবাই যখন করোনা মহামারী মোকাবেলায় ব্যস্ত, এমন সময়ে করোনা সংক্রমণ রোধে সময়মতো, নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা বিষয়ক তথ্যাবলীর অবাধ সুযোগ শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নয় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, স্থানীয় কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দ এবং সাহায্যসংস্থার কর্মীদের করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ‘কন্টাক্ট ট্রেকিং’ এর মাধ্যমে পরিচালিত-যা ইন্টারনেট সেবার উপর নির্ভরশীল। রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টির জন্য আবারো বার্মার সেনাবাহিনীকে দায়ী করে ওই চিঠিতে মার্কিন আইন প্রণেতাগণ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সাথে একসাথে কাজ করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সাহায্যকারী দেশ। দেশটি এ পর্যন্ত ৮২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে।

পাঠকের মতামত

Single Page Bottom

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...
Single Page Footer