প্রকাশিত: ০২/০৯/২০১৭ ১:২৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১২ পিএম
আজ সকালে লুটেরার হাতে ৮ গরু হারিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ৩ মহিলার আহাজারি

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ঘরবাড়ি, ধন-সম্পদ ফেলে বাংলাদেশে আসার পর লুট করে নেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা শেষ সম্বলও।

সীমান্ত এলাকা উখিয়া, ঘুমধুম, তুমব্রু, ফালংখালী, হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাবরং ও শাহাপরীর দ্বিপে রোহিঙ্গাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

পকেটের টাকা, নারীদের স্বর্ণ, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী যা পাচ্ছে তা লুটপাট করে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

স্থানীয় কিছু সরকার দলীয় নেতা-কর্মী রোহিঙ্গাদের সম্পদ লুটের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গরা।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর লুটপাটের সময় উখিয়া উপজেলা যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আমিন শাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, এক অসহায় রোহিঙ্গার পশু ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজু আমতলি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে আটটি গরু ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তিন রোহিঙ্গা নারীর। বৃষ্টিতে ভিজে আহাজারি করছিলেন তারা। কিন্তু তাদের আহাজারি শোনার কেউ নেই। এই সময় তাদের কানের দুল ও নাকের ফুলও ছিনিয়ে নেয়া হয়।

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অবস্থান নিয়েছেন অনেক নারী ও শিশু।

সীমান্তের ঘুমধুম, আমতলী, বাইশপাড়ি, জলপাইতলী, বেতবুনিয়া, কলাবাগান এলাকায় অন্যবারের চেয়ে এবার রোহিঙ্গাদের অবস্থান বেশি।

অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আনা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি কম্বল, হাড়ি-পাতিল পর্যন্ত স্থানীয় কতিপয় সুবিধাভোগীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের হাতে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে সব লুটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

রেজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে এপারে আসলে আবুল হাসেম নামে এক বৃদ্ধর কাছ থেকে ছয়টি গরু ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অনেক অহাজারির পরও শেষ সম্বল গরুগুলো ফেরত দেয়নি প্রভাবশালীরা। একই এলাকা থেকে তিন মহিলার আটটি গরু ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় একটি চক্র।

এদিকে, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, যারা অসহায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে তাদের পশু ছিনিয়ে নিচ্ছে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
এছাড়াও দালালদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। সুত্র: পরিবর্তন

পাঠকের মতামত

সেন্টমার্টিন যাত্রা ঘিরে সক্রিয় জালিয়াত চক্র

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারি ১২টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ ...

টেকনাফে ঘুষ ছাড়া ট্রান্সফরমার বদল নয়; পবিসের নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের টাকা আদায়ের অভিযোগ

সাধারণত অতিরিক্ত লোড এবং প্রকৃতিগত সমস্যার কারণে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে থাকে। আর নষ্ট ...

কক্সবাজারের ইউএনওকে গ্রেফতার করতে বললো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া পর্যটক

জাহাজযোগে সেন্টমার্টিন যেতে যাত্রাবিলম্ব হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ দাবি করে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী ...